সংক্ষিপ্ত
- সোশ্য়াল মিডিয়াতে ক্রমেই অপরাধ মূলক কাজ বেড়েই চলেছে
- এবার সেই মাধ্য়মকে প্রতারণার কাজে ব্য়বহার করল অভিজিৎ
- ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে চাকরির প্রলোভন দিত ওই যুবক
- ধৃত যুবককে ব্য়াপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়
সোশ্য়াল মিডিয়াতে ইতিমধ্য়েই নিরাপত্তা বাড়ানোর পরেও, এখন অপরাধ মূলক কাজ ক্রমে বেড়েই চলেছে। আর এবার আর্থিক প্রতারণার কাজে ব্য়বহার করল দমদমের মানসিপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ বেরা। মহিলাদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে চাকরির প্রলোভন দিত ওই যুবক। ইতিমধ্য়েই অভিযোগ পেয়ে, ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, আশঙ্কায় কলকাতাবাসী, মেঘলা আকাশের মাঝেও কি মিলবে দেখা বলয় গ্রাসের
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বেরা নামে ওই যুবক ফেসবুকে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। আর সেই অ্যাকাউন্টগুলি মহিলাদের নাম নিয়ে খুলেছিল। উদ্দেশ্য় ছিল একটাই, আলাপ জমিয়ে টাকা বার করে নেওয়া। আর তাই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখত ওই যুবক। আর বিনিময়ে সে মোটা টাকা দাবিও করত সে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই বিশ্বাস করে মোটা অঙ্কের টাকা দেন অভিজিৎকে। এখানেই শেষ নয়, নির্ধারিত সময়ে বিমান সংস্থার নিয়োগপত্র হাতেও পেয়ে যান তাঁরা। কিন্তু সেই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে যাওয়ার পরই সমস্যার সূত্রপাত। সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরই চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন ওই নিয়োগপত্র ভুয়ো। এরপরই প্রতারিতরা অভিযুক্তকে ধরতে জাল পাতে।
আরও পড়ুন, সূর্যগ্রহণ শুরু ৮.২৭-এ, আংশিক বলয় গ্রাসের সাক্ষী কলকাতা
বুধবার রাতে দমদমের মানসিপাড়ার বাসিন্দা, অভিজিৎ-র খেলা সাঙ্গ হয়। শেষ অবধি নিজের পাতানো জালে ধরা পড়ে যায় ওই যুবক। পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে আনা হয় অভিযুক্তকে। আর তারপরেই বহুদিনের ক্ষোভ, সবাই তাঁর উপর বার করে। ব্য়াপক মারধর করা হয় ওই যুবককে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। অবশ্য় পুলিশি জেরায় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে অভিজিৎ বেরা নামে ওই যুবক। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ১১ জনের থেকে কয়েকলক্ষ টাকা নিয়েছিল ওই যুবক। এবং চাকরি দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্য়তা তৈরি করতে, নিজেই তৈরি করত ভুয়ো নিয়োগপত্র। পুলিশের অনুমান, এই প্রতারণার চক্রের পিছনে আরও অনেকে জড়িত আছে। তবে এই ঘটনার পর্দা ফাঁসের পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।