সংক্ষিপ্ত

  •  ফের কালোবাজারির অভিযোগ শহর কলকাতায় 
  • শহরের একাধিক পরিবারকে  সর্বশান্ত করছিল ধৃতরা 
  •  ২৭০০ টাকার রেমডেজিভির ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি
  •  বিক্রি করতে গিয়েই কলকাতা পুলিশের জালে ৩ জন 

 ফের কালোবাজারির অভিযোগ শহর কলকাতায়। ঘটনায় পুলিশের জালে একাধিক।  কোভিড পরিস্থিতিতে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চড়া দামে কোভিড চিকিৎসার সরঞ্জাম বিক্রি করছে। আর শহরের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা শেষ অবধি তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছে।

আরও পড়ুন, কোভিড বিধির কড়া নিয়মের মাঝেই মেতে উঠল ইদের উৎসব, দেখুন ছবি  

 

 

 

 

 পুলিশ সূত্রে খবর, অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারি করার জন্য এসএসকেম হাসপাতালের সামনে থেকে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। পাশপাশি মোটা টাকার বিনিমনে কোভিড রোগীকে বেড পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং  সরকারী কর্মচারী হিসাবে পরিচয় দেওয়ার অপরাধে শেখ নাসিরউদ্দীন নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, অবৈধভাবে অক্সিজেন ফ্লো মিটার কিনতে রোগীদের প্ররোচিত করার জন্য দুটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের দখল থেকে ২ টি ডিভাইসই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য যতো করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে, ততোই আরও অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড চিকিৎসার সরঞ্জামের কালোবাজারিতে ভরে গিয়েছে বাজার। শুধু বেড পাইয়ে দেওয়া, অক্সিজেন ইস্যুই নয় অপরাধী সেসব পেরিয়ে আরও থাবা বসাতে ওষুধ ইন্ডাস্ট্রিকেও লক্ষ্য বানিয়েছে। তাই কোভিড চিকিৎসার সরঞ্জামে কালোবাজারি রুখতে কলকাতা পুলিশের তরফে শহরবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এবং কলকাতা পুলিশের তরফে ফোন নাম্বারও দেওয়া হয়েছে। ৯৮৭৪৯০৯৬৪০ এই নাম্বারে ডায়াল করে আপনি আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন। 

 

 

আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক মুকুল রায়, কোভিডে মাকে হারালেন শতরূপ ঘোষ 


উল্লেখ্য,  ২৭০০ টাকার রেমডেজিভির ২৫ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগে  তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন জনের নাম রাজকুমার রায়চৌধুরী, দেবব্রত সাহু এবং ইন্দ্রজিৎ সাহু। ধৃতদের কাছ থেক ১৩২ কার্টুন রেমডেজিভির উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শুরু রেমডেজিভির নয় ওষুধের পাশপাশি কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের যন্ত্রাংশ ফ্লো-মিটার নিয়েও। করোনা পরিস্থিতিতে ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সব রাজ্যকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, গত একমাসে শুধু মাধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১২০০ জাল রেমডেজিভির ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই ওষুধে নুন এবং গ্লুকোজ রয়েছে।