সংক্ষিপ্ত
- মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে বিপাকে
- হাসপাতালের চিকিৎসকদের শোকজ
- ৫ এপ্রিল কেন হাসপাতালে প্রদীপ জ্বলেছে
- তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছে শোকজ নোটিসে
মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে বিপাকে পড়লেন বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সহ মোট পাঁচ জন। ৫ এপ্রিল কেন হাসপাতালে প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে তা জানতে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ। ইতিমধ্য়েই সেই নোটিস নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। টুইটারে এই শোকজকে রাজ্য় সরকারের 'নিকৃষ্টতম রাজনীতি' বলে মন্তব্য় করেছেন তিনি।
এই হলেন আমাদের দিদিমনি- মাননীয়া @MamataOfficial •ঝাড়গ্রামের স্বাস্থ্য আধিকারিককে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী @narendramodi -র অনুরোধে প্রদীপ মোমবাতি জ্বালানোর জন্য•এতো নিচে কখনো কারোকে নামতে দেখেছেন? ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না! @BJP4Bengal #TMছিঃ pic.twitter.com/PNHWoJ1S2V
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 13, 2020
শোকজ চিঠি বলেছে,যে পাঁচজনের নামে নোটিস এসেছে তাদের মধ্য়ে ৩ জন চিকিৎসক, এক জন নার্স ও আরও একজন হাসপাতালের কর্মীর নাম রয়েছে। গত ৫ এপ্রিল রাতে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে হাসপাতাল ভবনের ভিতরে ও বাইরে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানো হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও কর্মীরা। মুখ্য় মেডিক্যাল অফিসার বলেছেন, হাসপাতালে এই কর্মসূচিতে কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটে যেতে পারত।
রাজ্য়ে নিজামুদ্দিন ফেরতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন টলিউড অভিনেত্র্রীর বাবা!
যদিও এই ঘটনার মধ্য়ে রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু দেখছেন না আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। টুইটারে বাবুল লিখেছেন,'এই হলেন আমাদের দিদিমনি- মাননীয়া। ঝাড়গ্রামের স্বাস্থ্য আধিকারিককে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির অনুরোধে প্রদীপ,মোমবাতি জ্বালানোর জন্য। এত নীচে কখনও কাউকে নামতে দেখেছেন? ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না! '
করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে টলিউডের অভিনেত্রী সাংসদের বাবা
দেশের সাম্প্রতিক অতীত বলছে,গত ৫ এপ্রিল রাত ৯টার সময় ৯ মিনিট দেশবাসীর কাছে ঘরের আলো বন্ধ করে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ প্রদীপ বা মোমবাতি না পেলে তাদের টর্চ এমনকী মোবাইলের আলো জ্বালাতে বলেছিলেন মোদী। দেশবাসীর কাছে করোনা যুদ্ধে সামিল হতে এই ছিল তাঁর আবেদন।
মুর্শিদাবাদের মসজিদে মানা হয়নি লকডাউন, রাজ্য়কে ফের কড়া চিঠি কেন্দ্রের.