সংক্ষিপ্ত

  • সন্তান প্রসবের পর গৃহবধূর মৃত্যু
  • চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের
  • নার্সিংহোমে চলল ভাঙচুর
  • চিকিৎসককে সপাটে চড় মৃতার পরিজনদের

প্রসবের পর তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না, সুস্থ ছিল সদ্যোজাত শিশুটিও। এক গৃহবধূর মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কাণ্ড মোমিনপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালালেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। চড় মারা হল চিকিৎসককেও।

আরও পড়ুন: ফের মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী, শুভেচ্ছা জানালেন পড়ুয়াদের

মৃতার নাম সার্বণা ভট্টাচার্য। কয়েক দিন আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মোমিনপুরের সিএমআরআই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকালে সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। পরিবারের লোকেদের দাবি, বেলার দিকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মা ও সন্তান দু'জনই সুস্থ রয়েছে। দুপুরে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন সার্বণা। রাতে দীর্ঘক্ষণ নার্সিংহোমে ছিলেন তাঁর স্বামী।  এরপর রাত তিনটে নাগাদ নার্সিংহোম থেকে ফোন করা হয় রোগীর বাড়িতে। মৃতার স্বামীকে জানানো হয়, আচমকাই ওই শারীরিক অবস্থায় অবনতি ঘটেছে, ওই গৃহবধূকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে আইসিইউ-তে! খবর পেয়ে বাড়ির লোক যখন নার্সিংহোমে পৌঁছন, ততক্ষণে সবশেষ। সূত্রের খবর, সার্বণার মৃত্যু হয়েছে জানানো হয় নার্সিংহোমের তরফে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: নতুন করে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে

চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে মোমিনপুরের সিএমআরআই নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান মৃতার পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসককে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। তাঁকে সপাটে চড়ও মারেন বিক্ষোভকারীরা।  শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে মারা গিয়েছেন সার্বণা ভট্টাচার্য।  নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা।