সংক্ষিপ্ত
- গো-ব্যাক স্লোগানেও কাজ হল না
- নিজের চিন্তাধারয় অনড় রয়েছে সরকার
- রাজ্য়ে সিএএ নিয়ে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
- মুকুলের থেকে জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলায় সিএএ নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চাক্ষুষ করেছেন আগেই। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে তাই রাজ্য়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষের অবস্থান জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে মুকুলের থেকেই প্রাথমিক রিপোর্ট নিলেন নমো। পরে অবশ্য মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই সিএএ বাস্তবায়ন থেকে পিছু হটবে না সরকার।
কয়েক সেকেন্ড পেলেন দিলীপ, মুকুলকে বেশি সময় দিলেন মোদী
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একে একে উত্তাল হয়েছে অসম ,পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি,বেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশ। হিংসার আগুনে ভিন রাজ্য়গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। বাংলায় প্রাণ না গেলেও জ্বলেছে ট্রেন,বাস সরকারি সম্পত্তি। একের পর এক স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় বহু কোটি টাকার সম্পত্তির লোকসান হয়েছে। মনে করা হয়েছিল, দেশের বিভিন্ন স্থানে এই পরিস্থিতির পরে সিএএ নিয়ে সুর নরম করবে মোদী সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসার আগেই নাগরিকত্ব আইনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই আইন কার্যকর করে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কলকাতায় এসে তাই বিজেপি নেতাদের 'এগিয়ে যাওয়ার' বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবনে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের সঙ্গে বৈঠকে মোদী জানিয়ে দেন, পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, ক্ষোভ সামাল দিতে ধর্মতলায় মমত
সূ্ত্রের খবর, শনিবার বিকেলে দমদম বিমানবন্দরে নামতেই মুকুল রায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন মোদী। তিনি বলেন, বাংলার পরিস্থিতি কী বুঝছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলছেন? যা শুনে সিএএ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ইতিবাচক দিকই দর্শান মুকুল। রাজ্য় বিজেপির এই নেতা বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে বোঝাতে জেলায় জেলায় প্রচারে নেমেছেন তাঁরা। ইতিমধ্য়েই এই প্রচারে বিপুল সমর্থন পেয়েছে বিজেপি। উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকা ছাড়াও মতুয়াসমাজ সিএএ নিয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, পরে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে একই বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহাদের একই কথা বলেন নমো। পাশাপাশি এখনই এনআরসি দলকে উচ্চবাচ্য় করতে না বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন , আপাতত এনআরসি হচ্ছে না। তবে সিএএ ও এনপিআর-এর সিদ্ধান্ত থেকে কোনওভাবেই সরছে না সরকার। এ বিষয়ে যেন রাজ্য়বাসীর মনে বিভ্রান্তি তৈরি করা না হয়। সে বিষয়ে রাজ্য়বাসীকে বোঝাতে বলা হয়েছে রাজ্য় বিজেপিকে। জনসংখ্য়ার তথ্য না দিলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষ সুবিধা পাবেন না, তাও বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে বাংলার মানুষকে।
রাজভবন ছেড়ে বেলুড়মঠে, স্বামীজির জন্মদিনে ধ্যানে বসবেন মোদী
দুদিনের কলকাতা সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে রাজ ভবনে থাকার কথা থাকলেও এখন স্বামীজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলুড়মঠে রাত্রিবাস করছেন তিনি। কাল সাতসকালে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ধ্য়ানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলুরমঠের তরফে জানানো হয়েছে,এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী বেলুড়মঠে রাত কাটাবেন। সেকারণে আন্তর্জাতিক অতিথিশালায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।