সংক্ষিপ্ত
- জোড়াবাগানের নাবালিকা খুনকে বিরলতম বলল পুলিশ
- রাজকুমারের তেমন অক্ষর জ্ঞান ছিল না, কোনও মতে করত সই
- মোবাইলে সার্চ ইঞ্জিন খুলে বের করত চাইল্ড পর্নোগ্রাফি
- খুনের দিনও পর্ণোগ্রাফি দেখে নাবালিকাকে ছাদে নিয়ে যায়
জোড়াবাগানের নাবালিকা খুনকে বিরলতম বলল পুলিশ। ৯ বছররের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন এবং খুনে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রাজকুমারকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদন্ড হতে পারে রাজকুমারের বলে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন, জোড়াবাগানে মৃতার বাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী, বাইরে মমতার পদত্যাগের দাবি জানালেন অগ্নিমিত্রা
এদিকে নাবালিকা খুনে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রাজকুমারের তেমন অক্ষর জ্ঞান না থাকলেও মোবাইলে সার্চ ইঞ্জিন খুলে বের করত চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। যা ছড়ানো বা ডাউনলোড করা রীতিমতো অপরাধ। যা রীতিমত অবাক করেছে পুলিশকে। রাজকুমারের দাবি, তার বাড়ি ঝাড়খন্ডের গিরিডিতে। অথচ তার আসল পরিচয় নিয়ে ধন্ধে লালবাজারের গোয়েন্দারা। ঝাড়খন্ড বা অন্য কোনও জায়গায় অপরাধ ঘটিয়ে রাজকুমার কলকাতায় পালিয়ে এসেছিল কিনা প্রশ্নের মুখে গোয়েন্দারা। তাই এবার গিরিডির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন, সোমবার পারদ নেমে স্বস্তি ফিরল শহরে, রাজ্যজুড়ে বুধবার পর্যন্ত জমিয়ে শীত
প্রসঙ্গত, জোড়াবাগান নাবালিকা খুনের কাণ্ডে অপরাধ কবুল করেছে কেয়ারটেকার রাজকুমার। বয়ানে অসঙ্গতি থেকেই সন্দেহ বাড়ে কেয়ারটেকারের উপর। এরপরেই তাকে আটক করে নেওয়া হয়। ৯ বছরের ওই নাবালিকাকে সে যে যৌন নির্যাতন চালিয়ে ঠান্ডা মাথাতেই খুন করেছে। বিরিয়ানি এবং চিপসের লোভ দেখিয়ে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নাবালিকাকে। এর পরই নাবালিকাকে অচৈতন্য করে রাজকুমার। মদ্যপ অবস্থায় পর্ণোগ্রাফি দেখে তারপরই উত্তেজিত অবস্থায় নাবালিকাকে ছাদে নিয়ে যায়। চালায় যৌন অত্যাচার।
আরও পড়ুন, 'মা-মাটি-মানুষের সরকারের জন্য টাকা পায়নি কৃষকরা', মমতাকে তোপ মোদীর
ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহের পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই ৯ বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তারপর ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের গলায় উপর আড়াআড়ি ছুরি চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ছুরিও। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার ৪টি দাঁত ভেঙে ঘটনাস্থলে পড়েছিল। এমনকি ওই নাবালিকার মাথার পিছন থেকেও চুল টেনে ছেড়া হয়েছে। অপরাধীর হাত থেকে বাঁচার জন্য বছর ৯ এর ওই মেয়েটি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কারণ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর ধস্তাধস্তির চিহ্ন মিলেছে। এমনকি নিম্নাঙ্গের বস্ত্র এবং অন্তর্বাস পরনে থাকলেও গোপনাঙ্গ উন্মুক্ত ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা নাগাদ মামা বাড়ির কাছেই জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেখ স্ট্রিটর একটি তিন তলা বাড়ির ছাদে ওই বিবস্ত্র ও গলা কাটা অবস্থায় ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়।