সংক্ষিপ্ত
- তরুণীকে শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচাতে গিয়ে পা ভাঙেন নীলাঞ্জনা
- তবুও শত শারীরিক অসুবিধা সত্বেও কথা রাখলেন তিনি
- সোমবার স্ট্রেচারে করেই এসে বয়ান দিলেন নীলাঞ্জনা
- আনন্দপুর কাণ্ডে অপরাধীর যোগ্য শাস্তি চেয়েছেন নীলাঞ্জনা
সোমবার আনন্দপুর কাণ্ড স্ট্রেচারে করেই এসে গোপন জবান বন্দী দিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্য়ায়। অভিযুক্তের গাড়ির তলায় নিজের পা ভেঙেও তরুণীর শ্লীলতাহানি রুখেছিলেন। উদ্ধার করেছিলেন সেই তরণীকে। এই ঘটনায় বীরাজ্ঞনা নীলাঞ্জনার পায়ের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অপারেশন করতে হয়। এই মুহূর্তে পুরোপুরি সেরেও ওঠেননি তিনি। ফিজিও থ্যারাপি সহ ড্রেসিং চলছে। কিন্তু তা সত্বেও তিনি গোপন জবান দিতে আসবেন আগেই জানিয়েছিলেন আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে। শত শারীরিক অসুবিধা সত্বেও অক্ষরে অক্ষরে কথা রাখলেন নীলাঞ্জনা। বয়ান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে মন খুললেন ফের এশিয়া নেট নিউজ বাংলার কাছে।
আরও পড়ুন, পুজোর আগেই গঙ্গা বক্ষে ভ্রমণ শুরু, ৯০ মিনিটের নস্টালজিয়া মাত্র ৩৯ টাকায়
আরও পড়ুন, কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার নীলাঞ্জনা জানালেন, 'আজকে ১৬৪ গোপন জবান বন্দী ম্য়াজিস্ট্রেটের সামনে দিলাম। অপরাধীর যাতে যোগ্য শাস্তি হয় সেজন্য অ্য়াপিলও করলাম ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে।' উল্লেখ্য, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সেই গাড়ি চালকের নাম অভিষেক। যে এই মুহূর্তে প্রায় অনেকবার জামিনের জন্য আবেদন করেছে। তাই নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন, সেগুলি এড়ানোতেই আমার দায়িত্ব, কোর্টে আমার গোপন জবানবন্দি দেওয়া। আমার জবানবন্দীর উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে।' তাই শত কষ্ট সত্বেও এলেন সোমবার বয়ান দিতে এলেন নীলাঞ্জনা। তবে যাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের পায়ের এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হলেন, সেই তরুণী যদিও বহাল তবিয়তে আছে। উদ্বারের পর বার বারই বদলেছে নির্যাতিতা নিজের রুপ। পরে ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অভিষেকই তাঁর হবু স্বামী। আর তাঁকে বাচাতে গিয়ে মিথ্য়েও বলেছেন পুলিশকে। তবে নীলাঞ্জনা ও তার স্বামী দীপ শতপথি সাফ জানিয়েছেন অভিযুক্তের শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন, পুজোর আগে মেট্রো চালুর ভাবনা রবিবারেও, পাতালরেলের পরিষেবায় একগুচ্ছ নয়া পরিকল্পনা
প্রসঙ্গত, নিজের জীবনকে বাজি রেখে তরুণীর শ্লীলতাহানির রোখেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্য়ায় এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। একমাস আগে এক শনিবার, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্য়ায় এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। আর প্লটের সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে চড়েও বসেছিলেন নীলাঞ্জনা এবং দীপ। আচমকাই তাঁরা খেয়াল করেন বাইপাসের কাছে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে নারী কন্ঠের 'বাঁচাও' আর্তনাদ। আওয়াজ শোনার পর নীলাঞ্জনা আর দুবার ভাবেননি,নেমে পড়েছেন বাঁচাতে, ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত গাড়িটা ততক্ষণে উদ্ধারকারীকে সামনে দেখতে পেয়ে, পায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দেয়। পরে ধরা পড়ে অভিযুক্ত অভিষেক। আলিপুর কোর্টে ওঠে মামলা। রাতারাতি বদলে যাওয়া তরুণীর ব্যবহারে যদিও উৎসাহ দেখাননি যদিও ওই উদ্ধারকারি দম্পতি। নীলাঞ্জনা স্বামী দীপ শতপথি স্পষ্ট জানিয়েছেন, 'গাড়ি চাপা দিয়ে অভিষেক খুনই করতে চেয়েছিল নীলাঞ্জনাকে, আমি অপরাধীর শাস্তি চাই।' নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন,' আবার এমন ঘটনা আমার সামনে ঘটলে আমি প্রতিবাদ করব। তবে একা সমাজ পাল্টানো যায় না, এগিয়ে আসতে হবে বাকিদেরকেও।'
আরও পড়ুন, ভিসা ছাড়াই বিশ্ব-ভ্রমণ, বহাল তবিয়তে এই ১৬ টি দেশে ঘুরে আসতে পারবেন ভারতীয়রা, দেখুন ছবি
হেরেই খুশি বাকিরা, করোনায় সবাই পিছনে ফেলে এগিয়ে কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগণা
বিষম খেয়ে শিশু মৃত্যু, হাসপাতালকে জরিমানা কমিশনের, কোভিড-ক্রাইমে ফের অভিযুক্ত ডিসান
চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ গোপন, কলকাতার ৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের
কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন