মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে নির্বাচন করার দাবিতে নগরায়ণ ভবনে মঙ্গলবার বামফ্রন্টের নয়জনের প্রতিনিধিদল হাজির হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমরেড রবীন দেব।

পুরভোট নিয়ে একের পর এক টালবাহানা দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমশ পিছোচ্ছে পুরসভা ভোট। ফলে বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে নির্বাচন করার দাবিতে নগরায়ণ ভবনে মঙ্গলবার বামফ্রন্টের নয়জনের প্রতিনিধিদল হাজির হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমরেড রবীন দেব। 

Scroll to load tweet…

উল্লেখ্য, রাজ্যের ১২৫ টি পুরসভার মধ্যে ১১২ টি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তিন বছর পার হয়ে গেছে ১৭টি পুরসভার। এই সমস্ত পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিধাননগরে রাজ্য নগরায়ন দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

Scroll to load tweet…

এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন পুরসভা ভোট যে কোনও সময় করানো যেতে পারে। মমতার দাবি ছিল কেন্দ্র উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানালেই পুরসভা ভোটের দিন স্থির করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নির্বাচন কমিশন এখনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানাতে পারেনি। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি সরকারের। এই অবস্থায় পুরভোট করানো যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

Scroll to load tweet…

জুলাই মাসের শুরুর দিকেই পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় নামেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন বাংলায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই পুরভোট করানো হোক। দিলীপের দাবি গত দুই বছর ধরে পুরসভা ভোট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার নিজের স্বার্থে এই ভোট করাতে চাইছে না। 

এর পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদের দাবি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কীভাবে পুরভোট করানো সম্ভব। এতে আরও বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। দু বছর ধরে গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে রেখেছে করোনা। তার ওপর ছিল ৮দফায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলে পুরভোট করানোর সময় মেলেনি।