সংক্ষিপ্ত
আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়ে এদিন হাজির ছিলেন হাজির বিজেপি প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
পূর্বঘোষিত সফরসূচি মেনেই গতকালই উত্তরবঙ্গ সফরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে গতকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। এদিকে বাকি তিন পুরসভার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও বড় মার্জিনে ক্ষমতা দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। এর তারমধ্যেই মমতার এই সফর রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো ছাপ ফেলেছে। এদিকে উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় বৈঠকে করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়ে এদিন হাজির ছিলেন হাজির বিজেপি প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
এদিকে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের বরাবরের অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকারের কোনও উন্নয়নের মিটিংয়ে ডাকা হয়না তাদের। শুধু উত্তরবঙ্গ নয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা থেকেও বারেবারে উঠেছে এই অভিযোগ। যাতে অস্বস্তি বেড়েছিল শাসকদলেরও। এরমাঝেই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপি জনপ্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক সাড়া ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির এই অভিযোগ থাকলেও ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে তাদের ডাকা হয় তার প্রমান মিলল মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় মূখ্যমন্ত্রীর ডাকা রিভিউ মিটিংয়ে। এই কমিটির চেয়ারপার্সন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এদিনের বৈঠকে বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকেও আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন-হিজাব পরা মেয়েই একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, ওয়েইসির মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্কের ঝড়
এদিনের মিটিংয়ে মনোজ টিগ্গা অনুপস্থিত থাকলেও খগেন মুর্মু উপস্থিত ছিলেন ও আদিবাসীদের উন্নয়নে কয়েকটি প্রস্তাবও দিয়েছেন। তবে মূখ্যমন্ত্রীর সাথে এদিনের মিটিংয়ের পর তাঁকে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। তার মতে যেদিন তার দেওয়া প্রস্তাবগুলো কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠানো হয় তাহলেই তিনি খুশি হবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কোনো উন্নয়নের মিটিংয়ে বিজেপির জনপ্রতিনিধি ডাক হয় না বলে যে অভিযোগ রয়েছে তার উত্তরে খগেন মুর্মুর বক্তব্য, “এই মিটিংয়েই শুধু ডাকা হয়। সমস্ত উন্নয়নের মিটিংয়ে ডাকা হলে আমরাও কিছু প্রস্তাব দিতে পারি।” অন্যদিকে এদিনের মিটিংয়ে আদিবাসীদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার একাধিক কাজ করেছে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৫ বছরে আদিবাসী দের জন্য ২০ লক্ষ নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণাও করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন-পুরভোটের আঁচে তপ্ত বাংলা, গোটা বাংলা জুড়েই রবিবাসরীয় প্রচারে বিশেষ জোর তৃণমূলের
আরও পড়ুন-৯ দিনে একবারও আসেনি ফোন, আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ কেরলের যুবক
এদিনের ট্রাইব্যাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বৈঠক থেকে মমতা বলেন, ”আদিবাসীদের জন্য সব কাজই করেছি। আদিবাসীরা এগিয়ে চলুক। আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী ৫ বছরে আদাবিসীদের জন্য ২০ লক্ষ ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যরা খুশি। নতুন কিছু সাজেশন সদস্যরা দিয়েছেন তা পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে। ”