সংক্ষিপ্ত
- ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজে উদ্ধার হল প্রথম বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
- ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেনিয়া পুকুর থানার পুলিশ
- উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট, যেখানে হতাশার কথা লেখা আছে
- ইংরেজি মাধ্য়মের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিল না সমাপ্তি
ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজ থেকে উদ্ধার হল প্রথম বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সকালে ছাত্রীর নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয় তাঁর মৃতদেহ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজের মেইন ক্য়াম্পাসের নার্সিং হোস্টেলের ছয় তলায় থাকত প্রথম বর্ষের সমাপ্তি নামের ওই ছাত্রী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেনিয়া পুকুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, ক্রমেই দম বন্ধ হয়ে আসছে শহরবাসীর, বায়ু দূষণে বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্য়া
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার রাতে ওই তরুণী বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করেছিল। পরদিন ভোরবেলায় উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। সমাপ্তি নামের ওই ছাত্রী মৃত্য়ুর আগে লিখে গিয়েছেন একটি সুইসাইড নোট। পুলিশের বক্তব্য়, সেখানে হতাশার কথা লেখা আছে। হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজি মাধ্য়মের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিল না সমাপ্তি । হস্টেলে নানা ভাবে হেনস্থা হচ্ছিল সে। তাদের অনুমান, অবসাদগ্রস্থ হয়েই আত্মহত্য়া করেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন, ইস্ট ওয়েস্টের মেশিন সরাবে মেট্রো, আতঙ্ক শুরু বউবাজারে
সমাপ্তি হলেন কোচবিহারের বাসিন্দা। তার বাবা হলেন পেশায় রঙের মিস্ত্রি। পছন্দের বিষয় বাংলা হওয়া সত্ত্বেও বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর জন্য় ওই ছাত্রী নার্সিং কোর্সে ভর্তি হন। এদিকে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করা হচ্ছিল ইংরাজি ভাষার মাধ্য়মে। বাংলা মাধ্যমের ওই ছাত্রীর পক্ষে তা বোঝা হয়ে কঠিন হয়ে উঠেছিল । কিছুতেই পড়া মুখস্থ করতে পারছিলেন না সমাপ্তি। এর পাশাপাশি ওই ছাত্রীর বাবা, মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য় ৫ লাখ টাকার লোন নিয়েছিলেন। এ নিয়েও যথেষ্ট চাপের মধ্য়ে থাকত সমাপ্তি। অনেকেরই অনুমান, পরিস্থিতির চাপেই শেষ অবধি মানিয়ে নিতে না পেরেই আত্মঘাতী হন ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রীর দেহকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বেনিয়া পুকুর থানার পুলিশ। তবে প্রেমঘটিত কোনও কারনে এই মৃত্য়ু কিনা, সে বিষয়েও তদন্তে নেমেছে পুলিশ।