সংক্ষিপ্ত
- শাসক-বিরোধী তরজার পরিবর্তে দ্বন্দ্ব লাগল খোদ বিজেপির অন্দরে
- বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্বে সরগরম রাজ্য় বিজেপি
- বিজেপির রাজ্য়সভাপতির বক্তব্য়কে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য় করলেন বাবুল
- যদিও এসবই বিজেপির কৌশল বলে মত তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের
উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিক্ষোভের 'গুলির আওয়াজে' উত্তপ্ত হল বাংলার রাজনীতি। শাসক-বিরোধী তরজার পরিবর্তে দ্বন্দ্ব লাগল খোদ বিজেপির অন্দরে। বিজেপির রাজ্য়সভাপতির বক্তব্য়কে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য় করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও নিজের বক্তব্য়কেই পার্টি লাইন বলে আখ্যা দিলেন দিলীপ ঘোষ। দিনের শেষে নিজেদের মধ্য়ে এই হানাহানিকে রাজনৈতিক কৌশল বলে ব্যাখ্যা করল তৃণমূল।
এদিন বেহালা সিলপারা জেমশলং সরণিতে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী সভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা পুরোপুরি কৌশল। কদিন আগেই অমিত শাহের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লাগে নরেন্দ্র মোদীর। পরে অবশ্য় রামলীলা ময়দানে দু জনেই এক সুরে কথা বলেন। রাজ্য়ে এই দুজনের লড়াই আসলে ছোট আকারের কৌশল। বাবুল সুপ্রিয়র কথায় দিলীপ ঘোষের জিভের মার্জিন টানা যাবে না । এই ভাঙাচোরা দল নিয়ে আবার লড়াই করতে এসেছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জনশক্তির বিরুদ্ধে। আর গুলির কথা বলছে, কে কাকে গুলি করবে ? নিজেরাই গুলি খেয়ে চলে যাবে। বন্দুকের গুলি নয়, মানুষের গুলি।
রবিবার নদিয়ার রানাঘাটে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র সমর্থনে বিজেপি-র একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন দিলীপবাবু। সেই মঞ্চ থেকেই নাগরকিত্ব আইনের প্রতিবাদে গত মাসে রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া তাণ্ডবের সমালোচনা করেন তিনি। খড়্গপুরের সাংসদ বলেন. 'এক কোটি অনুপ্রবেশকারী এখানে রয়েছে, তাঁরা আমার, আপনার টাকায় খাচ্ছে। অন্তত পাঁচ- ছ'শো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একটা লাঠিও চলেনি, গুলিও চলেনি, দিদির পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করেনি। ভোটার বলে কিছু বলছেন না? আর দেখুন অসমে, উত্তরপ্রদেশে, কর্নাটকে এই শয়তানদের আমাদের সরকার কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে। কেসও দিয়েছে। এখানে এসে খাবেদাবে আর এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে, জমিদারি পেয়েছো নাকি? লাঠিও মারব, গুলিও মারব, জেলেও ঢুকিয়ে রাখব। তাই করেছে আমাদের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুরোদ নেই কিছু করতে পারেন না।'
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যেরই কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত কল্পনা বলেও দাবি করেছেন তিনি। বাবুল বলেন, 'উত্তরপ্রদেশ, অসম, কর্ণাটকের বিজেপি সরকার কখনওই মানুষকে গুলি করে হত্যা করেনি। খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন দিলীপদা। উনি কী বলেছেন, তার দায় বিজেপি-র নয়।' যদিও এদিন মেদিনীপুর আদালতে হাজির হয়ে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি বলেন, 'যার যেমন ভাবনা সে তেমন মন্তব্য করেছেন। আমি আমার দলের অবস্থান যেটা, সরকার যেটা করেছে আমি সেটাকে সমর্থন করেছি । পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা সেটাই করব।'