সংক্ষিপ্ত
- হাওড়া শ্যুটআউটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- কী কারনে খুন করা হয়েছিল
- গতকাল রাতে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার ২
- খুনের পর পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া- বুধবার বিকেলে হাওড়ার শ্যুটআউট কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। ধর্মেন্দ্রর সিং খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। শালিমার স্টেশনের বাইরে ধর্মেন্দ্রকে খুনের পর গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা। সেই সময় অভিযুক্তদের বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ঝাড়খন্ডে পালানোর চেষ্টা করছিল। তার আগেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃত দুই অভিযুক্ত চন্দন চৌধুরী ও ভিকি সিং।
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব নিয়ে 'বেসুরো' শান্তনুর সঙ্গে মুকুলের বৈঠক, দল বদলের জল্পনায় জল ঢাললেন সাংসদ
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল মহ সানা আখতার জানান, গতকাল বিকেল চারটা নাগাদ শালিমার থেকে বাইকে চেপে ফিরছিলেন ধর্মেন্দ্র সিং।সঙ্গে ছিল তার পরিচিত সমর মাঝি। বাইক চালাচ্ছিলেন সমর। শালিমার তিন নম্বর গেটের কাছে তিন জন দুস্কৃতী বাইকে চেপে এসে ধর্মেন্দ্র ও সমরকে লক্ষ করে ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ধর্মেন্দ্র সিঙের। হাতে গুলি লাগে সমরের। গুলিবিদ্ধ সমর পুলিশকে জানায় চন্দন চৌধুরী তাঁদের উপর গুলি চালিয়েছে। এরপর পুলিশ অভিযুক্তদের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সেইমত তাদের ছবি বর্ধমান পুলিশকে পাঠানো হয়। শুরু হয় নাকা চেকিং। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে পুলিশের জালে।
আরও পড়ুন-খড়দহে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, রাতেই বদল কাঁথির পুর-প্রশাসক, সরানো হল ভাই সৌমেন্দুকে
দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরেই ধর্মেন্দ্র সিংকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। সঞ্জয় পালঙদার নামে ধর্মেন্দ্র সিং ঘনিষ্ঠ এক প্রমোটার জানান, এলাকায় বড় বড় হাউসিং প্রজেক্টে ইমারতি দ্রব্য সাপ্লাই করত সবাই। প্রথমে একসাথে কাজ শুরু করলেও পরে ধর্মেন্দ্র একাই কাজ করছিল দলবল নিয়ে। সেখান থেকেই বিবাদ শুরু হয়।পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখনও কোনো রাজনৈতিক শত্রুতা পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে, আজ সকাল থেকেই বি গার্ডেন গেট এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। চারটি রুটের বাস চালানো হয়নি। কারন গতকাল শ্যুট আউটের ঘটনার পর ধর্মেন্দ্র অনুগামীরা ভাঙচুর চালায়।আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বাইকেও। নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেকারনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।