সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে পৌছলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের তালিকা প্রার্থী নিয়েই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রশান্ত কিশোর।
শুক্রবার তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগে মমতার কালীঘাটের (Kalighat) বাড়িতে পৌছলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এদিন তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী প্রকাশের আগে রয়েছে দলীয় বৈঠক। যেখানে রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ( CM Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় সহ ওয়ার্কিং কমিটি থাকছে। এহেন পরিস্থিতি শুক্রবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের কলকাতা আগমনে তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থীয় বড় চমক থাকতে পারে বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোর কালীঘাটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌছে গিয়েছেন। তৃণমূলের তালিকা প্রার্থী নিয়েই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রশান্ত কিশোর। একইসঙ্গে নয়া দিল্লিতেতেও দলের অভিমুখ কী হবে, শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্য়ান্ড পয়েন্ট কী হবে, এনিয়ে বৈঠক করবেন মমতা, অভিষেক এবং প্রশান্ত কিশোর। তবে পুরসভা নির্বাচনের বিষয়ে যে আলোচনা হবে এনিয়ে কার্যত নিশ্চিত। সূত্রের খবর, আপাতত কোনও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। নির্বাচনে জয়ের পর তা ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশোক তানওয়ারকেও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মার্চ মাসেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ পেয়েছিলেন অটলবিহারী সরকারের বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর পৌত্র এবং প্রপৌত্র, রাজেশপতি এবং ললিতেশপতি। এদেরকেও কাজে লাগাতেও এই বৈঠক।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভা ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট। এবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় যুবক এবং মহিলাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে না বামফ্রন্ট। কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বামেরা। বামেদের প্রার্থী ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সিপিএমের হাতে থাকতে পারে ৮০ থেকে ৮৫ টি ওয়ার্ড। এরপরেই ফরওয়ার্ড ব্লকের নাম রয়েছে। ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারবে ফব। সিপিআই প্রার্থী ৮ থেকে ১১ টি ওয়ার্ডে তাঁদের সংগঠনের মুখকে তুলে ধরতে পারে। আরএসপি দিতে পারে ৯ থেকে ১১ টি জায়গা। গতবার পুরভোট জয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে টিকিট দেওয়া হবে বলে বামফন্ট্র সূত্রে খবর। প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখও আসতে পারে ৫৫ শতাংশ। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একুশের নির্বাচনের মতোই তরুণরা প্রাধান্য পাবে বলে খবর।