সংক্ষিপ্ত
- প্রাথমিক শিক্ষকদের অনৈতিকভাবে বদলির অভিযোগ
- সর্বভারতীয় পিআরটি স্কেলে বেতন বৃদ্ধির দাবি
- জোড়া দাবিতে আমরণ অনশন এবং ধর্না প্রাথমিক শিক্ষকদের
- স্কুলে না ফেরার হুমকি
বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় চোদ্দজন প্রাথমিক শিক্ষককে অনৈতিকভাবে বদিল করার অভিযোগ। তাঁদের আবার পুরনো স্কুলেই ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করলেন এগারোজন প্রাথমিক শিক্ষক। একই সঙ্গে সর্বভারতীয় পিআরটি স্কেলে বেতন বৃদ্ধির দাবিতেও সল্টলেকের করুণাময়ীতে ধর্না অবস্থান শুরু করেছেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা স্কুলে ফিরবেন না বলেও দাবি করেছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- শিক্ষকদের হাজিরা দিতে স্কুলে তুলতে হবে 'সেলফি', নয়তো মিলবে না একদিনের বেতন
আরও পড়ুন- শিক্ষক পাত্রের দাবি ঘরজামাই থাকা ও ১০ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপন ঘিরে শোরগোল নেটদুনিয়ায়
উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করাতেই ওই চোদ্দজন শিক্ষককে অন্য জেলায় বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৪ জুন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই শিক্ষকদের ফের পুরনো স্কুলে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে প্রায় কুড়িদিন কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের। এরই প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেছেন এগারোজন প্রাথমিক শিক্ষক।
সর্বভারতীয় পিআরটি স্কেলে বেতনের দাবিতে গত ২৪ জুন বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। সেই সময় তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন বলেই জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। বেতন বৃদ্ধির জন্য সরকারি নির্দেশিকা জারি করতে শিক্ষামন্ত্রী কয়েকদিন সময়ও চেয়ে নেন বলে দাবি। কিন্তু সেই নির্দেশিকাও এখনও জারি হয়নি। তার প্রতিবাদে ফের সল্টলেকের করুণাময়ীতে ধর্না অবস্থান শুরু করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
তাঁদের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, ধর্না অবস্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের বেতন কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেবেন। তবে সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় তৈরি বলেই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও শিক্ষামন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।