সংক্ষিপ্ত
শনিবার সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। পাশাপাশি ইতিমধ্য়েই প্রবল বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
শনিবার সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। পাশাপাশি ইতিমধ্য়েই প্রবল বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। টানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জল জমেছে। কোথাও কোথাও জল কোমর অবদি পৌঁছে গিয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি হলে ভাসবে রাজ্যের একাধিক এলাকা আরও সমস্যার মুখে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন, কোভিড আবহেই রমরমিয়ে মধুচক্রের ঠেক, পুলিশের জালে ২ মহিলা পান্ডা সহ ২১
হাওয়া অফিস, শনিবার সাতসকালেই ফের বৃষ্টির পূর্বভাস দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল , সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বাংলার ওপর দিয়ে বিহারের দিকে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা নদিয়া মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে যাবে নিম্নচাপ। মৌসুমী অক্ষরেখা পাটনা ধানবাদ এর ওপর দিয়ে বীরভূম হয়ে বাংলাদেশের নিম্নচাপ পর্যন্ত বিস্তৃত এই অক্ষরেখা। যার জেরে হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায়। তার সঙ্গে ছিল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। যা অক্ষরে অক্ষরে ইতিমধ্যেই মিলেও গিয়েছে। তবে এবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সেই নিম্নচাপ বাংলা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সরে গিয়েছে। সেটি এখন দেওঘরের কাছাকাছি রয়েছে। তাই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি আর হবে না। তবে কলকাতায় ফের ঝাপিয়ে বৃষ্টি হবে। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গও। অতি ভারী বৃষ্টি রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়।
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
"
টানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জল জমেছে। কোথাও কোথাও জল কোমর অবদি পৌঁছে গিয়েছে জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং। মিলেনিয়াম পার্ক এবং জাজেস ঘাটের লক গেট পরিদর্শন করে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় জল জমেছে তা পাম্পের সাহায্যে বার করে দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জল বাইরে বার করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমস্ত লক গেটগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত এদিকে একটানা বৃষ্টি জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে জুন মাসের স্মৃতি। ভারী বৃষ্টির জেরে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে জমিতে। চাষ-আবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভাঙড়ের সবজি চাষীরা। পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাতেও চরম ভুক্তভুগী রাজ্যের একাধিক এলাকা। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে রেলওয়ে ট্রাক। কোথায় জলের নিচে রাস্তা, পানীয় জলের কল, কোথাও আবার ঘরে মধ্যেই ঢুকেছে ভরা বর্ষার জল। তারই সঙ্গে ডেঙ্গুর আতঙ্কও ঘুরছে শহরজুড়েই।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রী। অপরদিকে শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রী। অপরদিকে শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস