সংক্ষিপ্ত
- শীতলকুচি নিয়ে একসময় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়
- শীতলকুচিতে পা রাখতে চলেছে সিআইডি
- ঘটনার পুনর্নিমাণ করবেন তাঁরা
- জিজ্ঞাসাবাদ করবেন স্থানীয়দের
শীতলকুচি নিয়ে একসময় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়। নির্বাচন পরবর্তী টানাপোড়েনেও বারবার উঠে আসে শীতলকুচির ঘটনার কথা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগযুদ্ধও সেই শীতলকুচিকে ঘিরেই। এবার নির্বাচন চলাকালীন রাজনৈতিক হিংসার রণভূমি সেই শীতলকুচিতে পা রাখতে চলেছে সিআইডি।
সোমবার সিআইডির স্পেশাল টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা শীতলকুচি যাবেন বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর। সেখানে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করবেন তাঁরা বলে জানা গিয়েছে।
ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে এই টিম শীতলকুচি যাচ্ছে। ঘটনার পুনর্নিমাণ করা ছাড়াও মাথাভাঙা থানার পুলিশ আধিকারিকদের তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সিআইডির এই বিশেষ দলের আধিকারিকরা স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। তদন্ত রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা যাচাই করে দেখা হবে। ১০ই এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে গুলি চলে কোচবিহারের শীতলকুচিতে। রক্তাক্ত হয় শীতলকুচির জোড়াপাটকি গ্রামের মাটি।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিনে শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। মূলত 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরা'ও বলার জন্য মমতার বিরুদ্ধে আগে অভিযোগও উঠেছিল। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। পরে জানা যায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথ রিগিং এর ঘটনা ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় প্রধানত হিংসা রুখতে এবং আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছিল। তাই পরে তৃণমূলের অভিযোগ ধোপে টেকেনি।
ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার সিআইডির বিশেষ দল শীতলকুচিতে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করবে। এরই সাথে বুথের বাইরে কোন পরিস্থিতিতে গুলি চলেছিল, কোথা গুলি চলেছিল, এই সব তথ্য খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মাথাভাঙা থানার আইসি, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। গুলি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছজন জওয়ানকে তৃতীয়বার তলবও করা হয়েছে। ২৫শে মে থেকে দোসরা জুনের মধ্যে ভবানী ভবনে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।