সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকালেই কলকাতার নাকতলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে হাজির হন ইডি-র আধিকারিকরা। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জেরা করেন ইডি তদন্তকারী অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি-র খবর পেতেই সেখানে হাজির হয় কলকাতা পুলিশের একটি দল।
সাড়ে সাত ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছে রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই জেরা ও তল্লাশি অভিযান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লেন পার্থ। নাকতলার বাড়িতে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেকে পাঠান পার্থর আইনজীবী। সূত্রের খবর পার্থর ইসিজি করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে পার্থের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তার দশ মিনিটের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময় তিনি কিছু বলতে চাননি। যদিও জানা গিয়েছে যে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এখন।
শুক্রবার সকালেই কলকাতার নাকতলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে হাজির হন ইডি-র আধিকারিকরা। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জেরা করেন ইডি তদন্তকারী অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি-র খবর পেতেই সেখানে হাজির হয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। তারা পুরো পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় রাজ্যের একজন মন্ত্রী এবং কলকাতা পুলিশের হাতে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে।
সেই কারণেই কলকাতা পুলিশের দলটি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও, কলকাতা পুলিশের দলটি ইডি-র কাজে কোনও বাধা তৈরি করেনি। ইডি-র পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে যাওয়ার আগে কোনও নোটিস পাঠিয়েছিল কি না তা নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অথবা ইডি-র কাছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে তল্লাশি এবং জেরার কোনও ওয়ারেন্ট রয়েছে কি না তা নিয়েও কিছু জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে রাজ্য জুড়ে এই তল্লাশি অভিযানে ইডি-র ৮০ থেকে ৯০ জন অফিসার রয়েছেন। তল্লাশি অভিযানে নামার আগে ইডি বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই-এর কাছ থেকে। কীভাবে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ গিয়েছে তার প্রামাণ্য তথ্যও সিবিআই-এর কাছ থেকে সংগ্রহ করে তারা। এরপরই এই তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তারা। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সিবিআই-কে জেরায় বলেছিলেন যে নিয়োগ কমিটির কথা বলা হচ্ছে তা সরকারি কোনও সিলমোহর ছিল না, কারণ তিনি জানতেনই না এমন কোনও কমিটি তৈরি হয়েছিল।
ইডির হানা প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ইডির তৎপরতা আগে কখনও দেখিনি। রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা বিজেপির হাতিয়ার। বাংলায় বিজেপির কিছু নেই। বাংলার বিজেপির শক্তি ইডি। গত কাল আমরা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছি। লড়াই শুরু হয়েছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’’
আরও পড়ুন-
এসএসসি পরিক্ষার নোটিফিকেশন প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ বারাসতে
'চোর ধরো জেল ভরো', এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে বাম মহিলা সংগঠনের মশাল মিছিল