সংক্ষিপ্ত
এক আইনজীবীকে নিগ্রহের অভিযোগে চুঁচুড়া আদালতে ‘পেন ডাউন’ আইনজীবীদের। জজ কোর্ট,সিজেএম,জেএম,সিভিল কোর্ট,ফাস্ট ট্রাক কোর্ট সহ সমস্ত কোর্টে কাজ বন্ধ রয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে দীপাবলিতেও(Diwali) চলে শব্দবাজির তাণ্ডব। দীপাবলির রেশ ফুরোতে না ফুরোতেই জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো উপলক্ষে এখনও রাজ্যের একাধিক প্রান্তে চলছে শব্দ দানবের আস্ফালন। একই চিত্র দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুজোর(Durga puja ) সময়েও। এবার সেই ঘটনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই উত্তাল হয়ে উঠল চুঁচুড়া। এমনকী এক আইনজীবীকে নিগ্রহের (Lawyer harassment) অভিযোগে চুঁচুড়া আদালতে(chuchura court) ‘পেন ডাউন’ আইনজীবীদের। জজ কোর্ট,সিজেএম,জেএম,সিভিল কোর্ট,ফাস্ট ট্রাক কোর্ট সহ সমস্ত কোর্টে কাজ বন্ধ রয়েছে। চরম অসুবিধায় পড়লেন মক্কেলরা। কারণ জানতে হলে যেতে হবে ফ্লাশব্যাকে।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর দশমীর রাতে হুগলি জেলার মগরার নয়াসরাইয়ে শব্দবাজি ফাটানো নিয়ে গন্ডগোল হয়। প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয় এক ব্যক্তিকে। প্রতিবাদীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন দিলীপ সাহা নামে চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবী দিলীপ সাহা। ব্যাপক মারধরও করা হয় তাঁকে। এরপরেই আদালত মারফত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী দিলীপ সাহা। হুগলী বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়। কিন্তু তারপরেও উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ডাইনি অপবাদ দিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দুই আদিবাসী পরিবার
নির্যাতিত আইনজীবীর দাবি এখনও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। এমনকী তাদের বিরুদ্ধে নূন্যতম কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। আর সেই কারণেই বৃহঃষ্পতিবার দিনভর চুঁচুড়া আদালতে কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। ২১ তারিখের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুগলি বারের সদস্য কিশোর মন্ডল। এদিকে আদালতে আচমকা কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আদালতে কোনও মামলা দায়ের না হওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন আইনজীবীদের অনেক মক্কেলই। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে হুগলী গ্রামীণ পুলিশের তরফে এখনও কোনও বাক্য ব্যয় করা হয়নি।
আরও পড়ুন- অবৈধ অনুপ্রেবেশে উত্তেজনা, বারাসাতে পাকড়াও বাংলাদেশী যুবক
এদিকে করোনা পরবর্তী সময় দেশে দূষণের মাত্রা কমাতে বারেবারেই প্রশাসনের তরফে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এমনকী সতর্ক করা হয় সাধারণ মানুষকেও। এমনকী যে কোনও ধরণের আতসবাজীর উপরেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। তারপরেও এই ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় যে আম-আদমির মনে যে উদ্বেগ বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এত চাপানউতের পরে কবে যে সমাজের হুশ ফিরবে সেই প্রশ্নই ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।