সংক্ষিপ্ত

ফের অমানবিক পুলিশ,  এবার কাঠগড়ায় মহেশতলা থানা। কালীপুজোর রাতে ওষুধের দোকানের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা, প্রতিবাদ করতেই যুবককে থানায় তুলে বেধড়ক মারল মহেশতলা থানার পুলিশ।

ফের অমানবিক পুলিশ (Police)। এবার কাঠগড়ায় মহেশতলা থানা। কালীপুজোর রাতে একটি ওষুধের দোকানের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা, তাতেই হাতাহাতি। পরিবারের  অভিযোগ, পরে ওই যুবককে মহেশতলা থানায় ( Maheshtala police station ) তুলে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে এসআই (SI)।

আরও পড়ুন, Crime: স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতার ছেলে

পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে কালীপুজোর রাতে একটি ওষুধের দোকানের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা, তাতেই হাতাহাতি। অভিযোগ মহেশতলা থানার এসআই আবুল মারজান সাদা পোশাকে নুঙ্গি স্টেশন সংলগ্ন একটি ঔষধের দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। তিনি বাইকটিকে এমনভাবে রেখেছিলেন যাতে অন্যদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করে জনৈক সুমন্ত বেরা। ওই যুবকের সঙ্গে এসআই তর্কাতর্কি করতে গিয়ে দুজনেই দুজনকে মারধর করতে শুরু করে। পরে ওই যুবককে মহেশতলা থানায় তুলে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে এসআই আবুল মারজান, অন্তত পরিবারের এমনটাই দাবি। কালী পূজার পরের দিন সুমন্ত বাবুকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু আদালত সুমন্ত বাবুর পরিস্থিতি দেখে তাকে জামিন দিয়ে দেয় এবং চিকিৎসার পরামর্শ দেন। মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সুমন্ত বেরা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর অপরেশন হবার কথা আছে।

আরও পড়ুন, Tathagata Roy: 'অর্থ ও নারী চক্রে জড়িয়েছে BJP', বিস্ফোরক টুইট করতেই তথাগতর বিরুদ্ধে FIR

পরিবারের দাবি এক্সরে রিপোর্ট অনুযায়ী সুমন্তর অন্তত চার জায়গার হাড় ভেঙে গিয়েছে। সুমন্তর পরিবার মহামান্য আদালতের কাছে সুবিচার এর জন্য আবেদন করেছেন।প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে আসে। রাজ্যে পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ অনেক শোনা গিয়েছে। তবে, প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবকের উপর সিভিক পুলিশের অত্যাচারের অমানবিক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়নি। অন্তত কলকাতায় এমন দৃশ্য সত্যিই বিরল। ফুটপাথে পড়ে রয়েছেন এক যুবক  । আর তাঁর বুকের উপরে বুট দিয়ে ঠেসে ধরেছেন  সিভিক ভলান্টিয়ার।  রবীন্দ্র সদনের  এক্সাইড মোড়ের এমন এক বিরল দৃশ্য চোখের সামনে দেখে নিজেদের সামলাতে পারেননি শহরবাসী। এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করে ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি চোখ এড়ায়নি কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি এর জন্য দুঃখিত।  রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিকের সব অফিসারকে  অফিসে ডেকে পাঠিয়েছি। তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তদন্ত হবে।'

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player