সংক্ষিপ্ত
- ভোট চলাকালে রাতারাতি গ্রেফতার হন বিজেপি মহিলা মোর্চার মুখ্য আহ্বায়ক প্রিয়ঙ্কা শর্মা
- তারই মাশুল গুণতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে এখনও
- এবার তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশ ধরাল সুপ্রিম কোর্ট
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করার অভিযোগে ভোট চলাকালে রাতারাতি গ্রেফতার হন হাওড়ার বিজেপি মহিলা মোর্চার মুখ্য আহ্বায়ক প্রিয়ঙ্কা শর্মা। তারই মাশুল গুণতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে এখনও। এবার তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশ ধরাল সুপ্রিম কোর্ট।
ঘটনার সূত্রপাত মে মাসে। ভোট চলাকালীন সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বলিউড তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ছবিতে বসিয়ে পোস্ট করেন। এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে এলাকারহ প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস হাজরা অভিযোগ দায়ের করলে আসরে নামে পুলিশ। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় তাঁর। এর পরেই ১৪ মে শীর্ষ আদালত ঘটনার নিন্দা করেন। প্রিয়ঙ্কাকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি বলেছিল, রাজ্য সরকার চাইলে প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু তাঁকে অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। সেটা ছিল মঙ্গলবার। কার্যক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কাকে ছাড়া হয় একদিন পরে, অর্থাৎ বুধবার।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি, গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী
জেলে অত্যাচার করা হয়েছে! ছাড়া পেয়েই বিস্ফোরক প্রিয়ঙ্কা
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে এই বিলম্বের কার্যকারণ দর্শাতে বলে। রাজ্য সরকারের উত্তরে খুশি হয়নি শীর্ষ আদালত। জামিনের সময় নিয়ে গড়িমসিকে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ আদালত অবমাননারই সামিল বলে গণ্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কেন দিনের দিন দেওয়া জামিন দেওয়া হল না প্রিয়ঙ্কাকে? তাঁর জামিন শর্তসাপেক্ষ নয়, অর্থাৎ ক্ষমা চাওয়ার সৌজন্যের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই জেনেও কেন এই বিলম্ব, বলাই বাহুল্য এর উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। তারপরেই আসে নোটিশ। এখন অপেক্ষা রাজ্য সরকার কি করে এর মোকাবিলা করে তা দেখার।