সংক্ষিপ্ত
রাজ্য়ে বাজি নিষিদ্ধ বলে রায় হাইকোর্টের । আর কলকাতা হাইকোর্টের বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জির পিছনে রয়েছে এশহরেরই মেয়ে রোশনি আলি ।
রাজ্য়ে বাজি (Crackers) নিষিদ্ধ বলে রায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহের দুই ঘন্টার পরিবেশ বান্ধব বাজি (ECO friendly Crackers) পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য পরিবেশ দূূষণ নিয়ন্ত্রক। কিন্তু এবার সেই সুযোগও রইল না। বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও রকম বাজিই ব্যবহার করা যাবে না। শুধুই প্রদীপে এবং মোমবাতিতে দীপাবলি, ছট, গুরুনানকের জন্মদিন পালন করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জির পিছনে রয়েছে এশহরেরই মেয়ে রোশনি আলি (Roshni Ali)।
আরও পড়ুন, Manohar Pukur Murder- বেকারত্ব নাকি অসুখী দাম্পত্য, কী কারণে স্ত্রী-কে খুন করলেন স্বামী
এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টে বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জি নিয়ে গিয়েছিলেন রোশনি আলি। তিনি বলেছেন অতিমারি পরিস্থিতি এখনও বেশ গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে গত বছরও হাইকোর্ট বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা করেছিল । সেই রায়ের সূত্র ধরেই রোশনি আদালতকে বলেছেন, এবছরও বাজির ব্যবহার বন্ধ হোক। কারণ বাজির ধোঁয়ার দূষণ থেকে বয়ষ্ক এবং শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্য হতে পারে।'এই মামলার রায়েই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেছেন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো এবং বাজি বিক্রি করার অনমতি কীভাবে দেব। বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা সবার কথা ভাবতে হবে।' প্রাক্তন সাংবাদিক বর্তমানে ফিল্মমেকার রোশনি আলি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বলেছেন, আইনজীবী বন্ধু রচিত লাখমানি সাহায্য নিয়ে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার দাবিতে তিনি একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন। শুক্রবার শুনানি হবে বলে আগে থেকেই সবার থেকে শুভেচ্ছা চেয়ে রেখেছিলেন রোশনি। এরপরেই জয়ী হন তিনি। যদিও এই প্রথমবার নয়, অতীতেও সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Weather- শহরে আজ সোনা রোদের আদর, পারদ নেমে শীতের আমেজ কলকাতায়
প্রসঙ্গত, পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর উপরে ছাড় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WB Pollution Control board)। জানানো হয়েছিল, কালীপুজোর দিন রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। তবে শুধু কালীপুজোই নয়, ছটপুজো এবং বর্ষণবরণেও একইভাবে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ছটপুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। তবে কোনও রকম শব্দবাজি এবং পরিবেশ দূষক বাজি পোড়ানো যাবে না। বড়দিন এবং বর্ষবরণেও বাজি পোড়ানোয় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল পর্ষদ। ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে বলে জানানো হয়েছিল। মূলত ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার বাজি পোড়ানোয় পূর্ণাঙ্গ যবনিকা পড়ল পশ্চিমবঙ্গে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে