সংক্ষিপ্ত
বাংলায় তৃতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠার পর এবার রাজ্য পেরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে দখল নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সংগঠন নিয়ে আলোচনা করতে একদিনের সফরে অসম যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বাংলায় তৃতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠার পর এবার রাজ্য পেরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে দখল নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অসম থেকে প্রার্থী দিতে পারে ঘাসফুল শিবির। আর সেই নির্বাচনে জয় পেতে বিজেপি বিরোধী কার্যকর জোট গঠন দরকার। সেই উদ্দেশ্যেই আসামে এবার সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্য়ে তৃণমূল। আর এবার সংগঠন নিয়ে আলোচনা করতে একদিনের সফরে অসম যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।
দলীয় সূত্রে খবর, ১১ মে অসম যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।একদিনের সফরে রিপুন বোরা, স্মিতা দেবর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। একই দিনে আার রাজ্যে ফিরে আসার কথা তার।আপাতত মেঘালয়ে যাচ্ছেন না অভিষেক। সেরাজ্যে সংগঠনে পৌছানোর দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইঞা। তিিন নিয়মিত যাতায়াত করছেন। সূত্রের খবর মুকুল সাংমার সঙ্গেও কথা বলছেন তিনি।
অপরদিকে, 'অসমে কংগ্রেস ভেঙে গিয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, তাও শীঘ্রই ভেঙে যাবে', বলে আগেই অসমের তৃণমূলের সভাপতি রিপুন বোরা জানিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অসম থেকে প্রার্থী দিতে পারে ঘাসফুল শিবির। আর সেই নির্বাচনে জয় পেতে বিজেপি বিরোধী কার্যকর জোট গঠন দরকার। সেই উদ্দেশ্যেই আসামে এবার সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্য়ে তৃণমূল। আর এবার সংগঠন নিয়ে আলোচনা করতে একদিনের সফরে অসম যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।এদিকে নিপুণ বোরাকে অসমের তৃণমূলের সভাপতি করার পর এবার ঘর ঘোছানোর কাজ শুরু করতে চায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন, কে এই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়াণা, কীভাবে অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়
তৃণমূল সূত্রে খবর, দ্রুত গুয়াহাটিতে রাজ্য সদর দফতর খোলার চেষ্টা করছে দল। রাজ্য তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম সেখান থেকেই করা হবে। সুস্মিতা দেবের দাবি, তৃণমূলের রাজ্য দফতর খোলার পর উত্তর-পূর্বের এই বড় রাজনৈতিক রাজ্যটিতে ক্রমশ ক্ষিয়মান কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে, এআইইউডিএফ -র সঙ্গে জোট করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা তথা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি তাঁরা। কংগ্রেসের সেই দুর্বলতাই তৃণমূলের পথকে সুগম করেছে বলে দাবি ঘাসফুলের।
একুশের এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে লক্ষ্য স্থির করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো বেশ কিছু নেতাই ইতিমধ্য়েই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।এবার সুস্মিতা ও রিপুনের হাত ধরে অসমেও কংগ্রেসের ভাঙন ধরার একটা সম্ভাবনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা ভবিষ্যতে বিজেপি শাসিত আসামে তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করবে।