সংক্ষিপ্ত

  • বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু'দিন  রাজ্য জুড়ে লকডাউন 
  • সাপ্তাহিক লকডাউনে কোনও ট্রেন রাজ্য থেকে ছাড়বে না 
  • ভিন রাজ্য থেকে কোনও ট্রেন এখানে এসে পৌঁছবে না 
  • শহরের রাস্তার মোড়ে গার্ড-রেল বসিয়ে চলছে নাকাচেকিং 

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর দু'দিন  রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন। এই দু'দিন রাজ্যে বন্ধ থাকবে রেল পরিষেবা৷ রেল সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে সাপ্তাহিক লকডাউনে কোনও ট্রেন রাজ্য থেকে ছাড়বে না এবং  ভিন রাজ্য থেকে কোনও ট্রেন এখানে এসে পৌছবে না৷ এছাড়া স্পেশাল ট্রেনও চলবে না ৷

আরও পড়ুন, নিম্নচাপে নাজেহাল শহর,আজ দিনভর মহানগর জুড়ে বৃষ্টি

যে ট্রেনগুলি আগামী দুই দিন বাতিল থাকছে, সেগুলি এবার জেনে নেওয়া যাক। আপ ও ডাউন হাওড়া-পাটনা এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি এসি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ার স্পেশাল ট্রেন, হাওড়া-ভুবনেশ্বর স্পেশাল ট্রেন, শালিমার-পাটনা দুরন্ত স্পেশাল এক্সপ্রেস, যশোবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ -ভুবনেশ্বর দুরত্ব এক্সপ্রেস৷ এছাড়া আরও  কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে আনা হয়েছে ৷ এর মধ্যে সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া স্পেশাল, এই ট্রেন হাওড়ার বদলে ভুবনেশ্বর আসবে৷ ভুবনেশ্বর থেকে নয়া-দিল্লি স্পেশাল এবং এসি এক্সপ্রেসের এই রাজ্যে কোনও স্টপেজ থাকছে না । লকডাউন মিটে যাওয়ার পরে হাওড়া-মুম্বাই সি এস এম টি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে।

আরও পড়ুন, গঙ্গার ধারে প্রিন্সেপ ঘাট ও সৌধ, কে তিনি, কেন তার নামে এত বড় স্মৃতিসৌধ


অপরদিকে, সকাল থেকেই শহরের রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গার্ডরেল বসিয়ে চলছে নাকা-তল্লাশি। ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় থানার অফিসারেরাও। লকডাউন সফল করতে আরও কড়া কলকাতা পুলিশ।লকডাউনে পার্ক স্ট্রিটের চারদিকে গার্ড রেল দেওয়া হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ বিভিন্ন রাস্তায় গার্ড-রেল দিয়েছে।  পার্ক স্ট্রিট-সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এইভাবে গার্ড রেল দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশি নজরদারি চলছে। জরুরি কাজ না থাকলে রাস্তায় যাতে মানুষ না বার হন সেই দিকে নজর রাখছে পুলিশ। ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, মল্লিক বাজার, পার্ক সার্কাস-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও রাস্তাগুলি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুনশান। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশকর্মীরা। দুই-একটা গাড়ি ছাড়া পুরো রাস্তাই ফাঁকা।  যদিও গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরোনোর কারণ জানতে চাইছেন পুলিশ কর্মীরা।