সংক্ষিপ্ত

সোমবার সল্টলেকে তরণীর শ্লীলতাহানি মামলায় দুই পুলিশ কর্মীকে আদালতে নিয়ে আনা হয়েছে।   তরুণীর শ্লীলতাহানিকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্য়েই দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেণ্ড করেছে কর্তৃপক্ষ।  

সোমবার সল্টলেকে তরণীর শ্লীলতাহানি মামলায় (Molestation Case) দুই পুলিশ কর্মীকে (Police) আদালতে নিয়ে আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, তরুণীর শ্লীলতাহানিকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্য়েই দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেণ্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন আদালতে তুলে দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবেদন করা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সল্টলেকে তরণীর শ্লীলতাহানি মামলায়  অভিযুক্ত বিধাননগর ট্রাফিকের এএসআই সন্দীপ পাল ও সিভিক ভলেন্টিয়ার অভিষেক মালাকারকে ইতিমধ্যেই বিধাননগর মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃত দুই জনের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ও ২৯৮ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে তুলে দুজনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবেদন করা হবে। আরও খবর ১৪ দিনের মধ্যেই দমদম সেন্ট্রাল জেলে টি আইপ্যাডের জন্য অভিযোগকারিণী ওই যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটে সল্টলেক এলাকায়। রাত প্রায় তখন ১ টা। অনেকরাত হয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটও পুরো শুনশান। যে সকল অফিসে নাইট শিফটে কাজ চলে, তারাও খুব একটা বেরোয় না বাইরে। যার দরুণ পাবলিক বাসেরও দেখা মেলে না। সেই রাতে করুণাময়ী মোড়  থেকে উল্টোডাঙা  যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আসানসোলের  এক তরুণী। এদিকে বেশ অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও  কোনও গাড়ি দেখা পাননি ওই তরুণী। এদিকে রাত বাড়ছে। শুনশান শহরে রীতিমত চিন্তায় পড়ে যান ওই তরুণী। কী করা উচিত, কীভাবে ফিরবেন, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তিনি। এহেন পরিস্থিতেই আচমকা পুলিশ দেখে আশার আলো দেখেন ওই তরুণী। সেখান দিয়ে তখন যাচ্ছিলেন বিধাননগর ট্রাফিকের এএসআই সন্দীপ কুমার পাল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার অভিষেক মালাকার। পুলিশকে দেখে ভরসা পান আসানসোলের ওই তরুণী। 

আরও পড়ুন, Bansdroni Murder: বাঁশদ্রোণী খুনে দায়ী ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকই, বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

বাইকে কর্তৃব্যরত পুলিশকে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁদের কাছে লিফট চান তিনি। কিন্তু সেই ভরসাই যে কাল হবে, তখন আন্দাজ করতে পারেননি তরুণী। এরপরই দুই অভিযুক্ত তাঁকে নিয়ে বাইকে করে ঘুরপথে বাইপাসের ধারে নিয়ে যায়। এবং তরণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে ফোনের চার্জও শেষ ততক্ষণে। কী করবেন, কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষ অবধি ওই তরুণী অপরএক কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের ফোন থেকে তার এক পরিচিতকে ফোন করে যোগাযোগ করেন। ঘটনা জানতেই সেই বন্ধু তরুণীকে নিয়ে কসবা থানায় আসেন। এবং  ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।