সংক্ষিপ্ত

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এই সব যানবাহনের ক্ষেত্রে দু’বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং রোড ট্যাক্স মকুব করা হবে। পরিবহণে বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের বাজেটে এই ছাড় প্রস্তাব করা হয়েছে।
 

হু হু করে বাড়ছে পেট্রোপণ্যের (Petroleum Producr) দাম। আর সেই কারণে ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক (electric vehicle) এবং সিএনজি (CNG) চালিত গাড়ি ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহ দিতে বাজেটে (West Bengal Budget 2022) বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রেজিস্ট্রেশন ফি (Registration Fee) এবং রোড ট্যাক্সে ছাড়ের (Road Tax Exemption) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। আজ বাজেট পেশের সময় অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানান, এই সব যানবাহনের ক্ষেত্রে দু’বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং রোড ট্যাক্স মকুব করা হবে। পরিবহণে বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের বাজেটে এই ছাড় প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ব্যাটারি চালিত ব্যক্তিগত ২ চাকার গাড়ি ও ৪ চাকা বিশিষ্ট ইলেকট্রিক গাড়ি কেনা ও পরিবহনে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ দিতে এই সকল যানবাহনের উপর ২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মকুব করার প্রস্তাব দেন। পরিবহন নিগমের বাসগুলিকে ইতিমধ্যেই সিএনজি জ্বালানিতে পরিবর্তন করার কাজ শুরু হয়েছে। ডাব্লুবিটিসির (WBTC) ৩০০টি এবং এসবিএসটিসি’র (SBSTC) ১০০টি বাসকে সিএনজিতে পরিবর্তন করার কাজও চলছে। বেসরকারি বাসমালিকদেরও বাসের জ্বালানি বদলের কথা বলা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রেও পেট্রোপণ্যের দাম বাড়লেও বাসের খরচ বাড়বে না। যার কারণে তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের ভাড়াও বাড়বে না। ফলে স্বস্তিতে থাকবেন যাত্রীরা। কিন্তু বেশিরভাগ মালিকই খরচের ভয়ে তাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বিধবা ভাতা- গুরুত্ব পেল বাংলার বাজেটে, মহামারিকালেও আয় বেড়েছে

আর বাসের মালিকরা যাতে আগ্রহ দেখান তার জন্য ট্যাক্স এবং রেজিস্ট্রেশন ফিতে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার ফলে অনেক পরিবহণ মালিকই এবার সিএনজি গাড়ি নামাতে আগ্রহী হতে পারেন বলে অনুমান। পাশাপাশি ছাড় ঘোষণা করার ফলে ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার উপরও সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- সোমবারই হতে পারে পুরসভার চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা, 'ক্রসচেক' করছেন মমতা

নিঃসন্দেহে এর ফলে CNG পরিচালিত গাড়ি ও ব্যাটারি চালিত এবং ইলেকট্রিক গাড়ির মালিকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি এই পরিবেশ বান্ধব গাড়িগুলির প্রতি সাধারণ মানুষের ঝোঁক বাড়বে। কারণে, একদিকে যেমন ছাড় পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে বাড়ছে পেট্রল ডিজেলের দাম। তার জেরে নাজেহাল হতে হবে না সাধারণ মানুষকে। ইতিমধ্যেই ৮০টি বৈদ্যুতিক বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে। এরপর ফেম-টু প্রকল্পের ওপেক্স মডেলে আরও ৫০টি বাস দ্রুত নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার সিইএসএল-এর (CSL) আরও ২ হাজারটি ইলেকট্রিক বাস চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। তার জন্য পরিবহণ ডিপোগুলোতে তৈরি করা হচ্ছে চার্জিং স্টেশন।

আরও পড়ুন- 'শিক্ষিত'দের নিয়ে নয়া দল গড়লেন সুকান্ত, বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ-যুগের অবসান