সংক্ষিপ্ত
লন্ডনের মতো কলকাতার রাস্তাতেও এবার চলবে ট্রলি বাস। জ্বালানীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ই-বাস, ই-অটোর পাশাপাশি ট্রলিবাস চালানোর চিন্তাভাবনা শুরু করছে রাজ্য সরকার।
লন্ডনের মতো কলকাতার রাস্তাতেও এবার চলবে ট্রলি বাস। উল্লেখ্য ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে ইতিমধ্যেই জ্বালানীর দামে বিস্ফোরন ঘটেছে। আত আঁচ পড়েছে ভারতেও। যেহারে লাফিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে তেল নির্ভর গাড়িগুলি আদৌ থাকবে কিনা, এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ শহরে ইতিমধ্যেই ভীড়ের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ি। আর এবার ঐতিহ্যকে সঙ্গে রেখে লন্ডন স্টাইলে কলকাতার রাস্তাতেও রাজ করবে ট্রলি বাস ।
মূলত যানযট এড়াতে বিলুপ্তির পথে কলকাতার ঐতিহাসিক ট্রাম। ট্রামের বৈদ্যতিক তারের মাধ্যমে চলবে ট্রলি বাস। লন্ডনের মতো কলকাতার রাস্তাতেও এবার চলবে ট্রলি বাস। এমনি পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে জ্বালানীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ই-বাস, ই-অটোর পাশাপাশি ট্রলিবাস চালানোর চিন্তাভাবনা শুরু করছে রাজ্য সরকার। শহরে ট্রলি বাসের রূপরেখা স্থির করতে শুক্রবার পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, কলকাতা পুরপ কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, আজ পেট্রোলের দাম ফের বেড়ে ১১২ পার কলকাতায়, সারা দেশে জ্বালানীর দামে নাভিশ্বাস
ই-বাস নির্মাণকারী, বাসের যন্ত্রাংশ সরবারহকারী বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, জ্বালানীর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তাই ই-বাস, ই-অটোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ই-বাসের সরবারহ ঠিক নেই। তাই ট্রলিবাস আনার পিরকল্পনা নেওয়া হয়েছে।আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রলিবাস মহানগরের রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা চলছে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলে সেটি বাড়ানোর কথা ভাবে যাবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
আরও দেখুন, ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর কলকাতা, চলুন কারণ জানতে ঘুরে দেখা যাক শহরের অলিগলি
অপরদিকে, শহরে জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি থেকে বাঁচতে এবং পরিবেশ দূষণ কমাতে কলকাতার রাস্তায় সিএনজি বাসের আগেই উদ্ধোধন করে দিয়েছেন ফিরহাদ।ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বেসরকারি বাসের জন্য আগামী ৬ সালের মধ্য়েই প্রথম সিএনজি স্টেশন তৈরি হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে। তাছাড়া পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে হাঁফ ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন বাস মালিকরাও। এবং তারই সঙ্গে অনেক পরিমাণে কমবে বায়ু দূষণও। তিনি আরও বলেছেন, আমরা ইলেকট্রিক বাসের উপর বেশি নজর দিচ্ছি। আর এখন সিএনজি বাসকে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে আরও পরিষ্কার , আরও সবুজ হয়ে ওঠে কলকাতা।'
আরও পড়ুন, মিথ্যে বললেই কপালে দুর্ভোগ, বগটুইহত্যাকাণ্ডে সাইকো অ্যানালিসিস্টদের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই
ট্রায়াল রানের পরীক্ষা সফল হলে ৭০০ সরকারি বাসকে কয়েকমাসের মধ্য়েই সিএনজি বাসে পরিণত করে ফেলা হবে। এই বাসের যাত্রা সফল হলে শহরে আরও সিএনজি বাসের সংখ্যা বাড়বে। মূলত পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। তারউপর আবার দীর্ঘ লকডাউনে অনেকের বাসের মেশিনপত্র খারাপ হয়েছে। এদিকে এত সব কিছু মধ্যে বাসের ভাড়াকে লাগাম রাখতে হচ্ছে। কিন্তু সেই অভিশাপ হয়ে উঠেছে পেট্রোল এবং ডিজেল। এবার সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন বাস মালিকরা।