সংক্ষিপ্ত
৪টি ধর্ষণ মামলায় দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে তদন্ত নির্দেশ হাইকোর্টের। এই ধরণের ঘটনায় বাকরুদ্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
৪টি ধর্ষণ মামলায় দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে তদন্ত নির্দেশ হাইকোর্টের। একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে তোলপার সারা বাংলা। প্রতিটা ক্ষেত্রেই পৈশানিক অভিজ্ঞতার শিকার অনেকেই। ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধী ধরা পড়লেও নতুন করে ধর্ষণটা তো আর কমছে না। আর ঠিক এই পয়েন্টেই, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। উল্লেখ্য, ইংরেজবাজার, মাটিয়া, দেগঙ্গা, এবং বাঁশদ্রোণীতে ঘটে যাওয়া নৃশংশ চার ধর্ষণ মামলায় এবার দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে তদন্ত নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ধরণের ঘটনায় বাকরুদ্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
রাজ্যের একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে। রাজ্যে অরাজোকতার অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য়ের ৪টি ধর্ষণ মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কমিটির নের্তৃত্বে রাখা হয়েছে দময়ন্তী সেনকেই। ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় তদন্ত করেছিলেন তিনি।সেই সময় তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রশংসা করেছিল অনেকেই। তবে ওই মামলার তদন্ত ঘিরেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে দময়ন্তী সেনের চাপান উতোর তৈরি হয়েছিল। এমনকি তাকে কলকাতা পুলিশের পদ থেকে বদল করা হয়। দীর্ঘ সাতবছর পর আবার তিনি কলকাতা পুলিশে ফিরে এসেছেন। এখন তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার। পুলিশ ট্রেনিং ইন্সিটিউটের দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন, 'আরশোলা বের হলেও এখানে খবর হয়', হাঁসখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিডিয়াকে নিশানা মমতার
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের মাটিয়াতে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। উপহারের লোভ দেখিয়ে এক নির্জন জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করে এক যুবক। নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় আরজিকর হাসাপাতালে। ১১ এপ্রিল তাকে ছাড়া হয়। পাশাপাশি ২৭ মার্চ মালদহের ইংরেজ বাজারে শোভাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক প্রতিবেশি যুবকের বিরুদ্ধে।বাডডিতে ঢুকে মুখ হাত বেধে মুখে পিস্তল ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয়। মাধ্যমিকের ওই ছাত্রীকে তারপর মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।অপরদিকে ২৮ মার্চ দেগঙ্গায় এক মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ মদ খাওয়ানোর পর ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে।পুলিশ মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল, জলের বোতল অনেকে কিছুই উদ্ধার করেছে দেগঙ্গার পুলিশ। চতুর্থ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীতে। ১৮ মার্চ দোলের দিন ১৩ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ পাড়ার দুই যুবকই তাকে ধরে একি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।