সংক্ষিপ্ত

বুধবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।

 

ডিসেম্বরের শেষ লগ্ন থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বিদায় নিতে ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে জাঁকিয়ে বসে শীত। নতুন বছরেও সেই আমেজ জারি রয়েছে। রাতে ও ভোরের দিকে এক লাফে অনেকটাই কমছে পারা। কনকনে ঠান্ডার আমেজ রয়েছে শহর কলকাতাতেও(Kolkata)। তবে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস(Meteorological Department Forecast) বলছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের(first week of January) শেষ থেকেই ধীরে ধীরে ফের বাড়বে তাপমাত্রা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। সেই কারণে রাতের দিকে কিছুটা হলেও বাড়বে তাপমাত্রা। এদিকে বুধবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়(Kolkata and surrounding areas on Wednesday) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের শেষ আপডেটে এমনটাই জানানো হয়েছে।

তবে বৃহঃষ্পতিবার থেকেই ধীরে ধীরে উঠে পারে পারা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বুধবার অবধি বাংলার উত্তরের এবং দক্ষিণের সমস্ত জেলায় শুস্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে আশার কথা এই যে ৭২ ঘণ্টা রাজ্যে কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ফলে শীতের চাদড় গায়ে জড়িয়ে সহজেই নতুন বছরে ঘোরাঘুরি করতে পারবে বাঙালি। তবে বেলা বাড়লে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ আগামী কয়েকদিন একটু বাড়বে বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। এদিকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে রাজ্যের আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে, একথা আগেই বলেছিলেন আবহাওয়াবিদেরা। তারই জেরে ফের একবার উধাও হতে পারে শীত। যদিও এখনই সেই সম্ভাবনা তৈরি না হলেও সপ্তাহান্ত থেকেই সেই পরিস্থিতির দেখা মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত শিক্ষকদের সবেতন নিভৃতবাসের ছুটি, বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের

এদিকে ডিসেম্বরে একটি দিন হাড়াকাঁপানো ঠান্ডার সাক্ষী ছিল গোটা বাংলা। ২০ ডিসেম্বর কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছিল ১১.২ ডিগ্রিতে। তাই ছিল এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। যদি ওই পর্যায়ের পারাপতন এখনও নতুন বছরে দেখতে পাওয়া যায়নি। এদিকে এই সপ্তাহেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার প্রভাব এখনই পড়ছে না বাংলায়। তবে নতুন যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটির আগমনের কথা রয়েছে তা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।