সংক্ষিপ্ত
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া প্রধানত সুস্থ থাকবে। ২০ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে।
রাজ্যে শীতের (Winter) অনুভূতি আর বেশিদিন পাওয়া যাবে না। ধীরে ধীরে এবার রাজ্য থেকে বিদায় নিতে চলেছে শীত (Winter Weather)। বাড়বে রাতের তাপামাত্রাও (Night Temperature)। আর তার মধ্যেই আবার বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast) দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। তবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির (Rain Forecast in South Bengal) কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু, তারপরই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া (Weather)। কারণ, ধেয়ে আসছে বৃষ্টি (Rainfall)। শনিবার থেকে মেঘলা থাকবে আকাশ। রবি ও সোমবার রাজ্যের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া প্রধানত সুস্থ থাকবে। ২০ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। তার মধ্যে রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে। বাকি জেলাগুলিতে মূলত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালকে অপসারণের মামলার ভিত্তি কোনও নেই, খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গও। সেখানে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে মোটামুটি ২১ তারিখ পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনই রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তন না হলেও দিনের বেলাতেও তেমন ঠান্ডা আর অনুভূত হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন- তাজপুর সমুদ্রবন্দর নিয়ে বিশেষ বৈঠক, নবান্নে আদানির প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারির মধ্য সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শীত ভাল করে অনুভূত হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছে। বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয়ের জেরে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। তার ফলেই ফের বৃষ্টি হবে রাজ্যে। এর ফলে শনিবার থেকেই মেঘলা করতে শুরু করবে আকাশ। আর রবি ও সোমবার প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতার তাপমাত্রা
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটিয়ে তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ ছিল রাজ্যজুড়ে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশ। আর বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বুধবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। আপাতত বিশেষ কোনও তাপমাত্রার হেরফের নজরে আসবে না। তবে, রবিবার থেকেই বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন- নেতৃত্বের নির্দেশের পরও অনড়, ৭ জেলায় পুরভোটে ৪৪ জন ‘নির্দল’-কে বহিষ্কার তৃণমূলের
এবারের মরশুমে তেমনভাবে জমাটি ঠান্ডা পায়নি বঙ্গবাসী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বারবার বৃষ্টির মুখে পড়েছে বাংলা। আর তাতে প্রত্যেকবার ব্যাঘাত ঘটেছে শীতে। কয়েকদিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার বৃষ্টি এসে কমিয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি। এমন ঘটনা এই মরশুমে একাধিকবার হয়েছে। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলবায়ু। যার প্রভাব পড়ছে চাষে। অকাল বৃষ্টির জেরে পচে গিয়েছে বহু সবজি। আর তার প্রভাব পড়ছে বাজার দরের উপর। এরপর সবজির দাম আগুন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।