সংক্ষিপ্ত
- কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবতী
- বাংলায় ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত ৫ জন
- মহারাষ্ট্র ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত ৯০ জন
- ডায়বেটিকদের এই রোগ আশঙ্কা জনক
রাজ্যে এবার কোভিডের মাঝেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্ক। কলকাতায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত যুবতীর মৃত্যু। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই অতিমারী আইনে ব্ল্যাক ফাংগাসকে বিশেষ রোগ বলে ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। সারাদেশের পাশপাশি এবার বাংলাও বাদ গেল না মিউকর মাইকোসিস নামক ছত্রাক সংক্রমণ থেকে।
আরও পডুন, 'কালো ছত্রাক' নিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন - রাজ্যে রাজ্যে এল চিঠি, AIIMS প্রধান দিলেন ৩ মন্ত্র
জানা গিয়েছে, শুক্রবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসাপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত যুবতীর মৃত্যু। মারা গেলেন বছর ৩২ এর শম্পা চক্রবর্তী। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা তিনি কোভিড এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত। শরীর দুর্বল থাকলেই এই ছত্রাক বাসা বাঁধে। কোভিড রোগীরা বেশি দিন আইসিইউ তে থাকলেও বা তাঁদের উপরে স্টেরয়েডর ব্যবহার বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। তখনই ব্ল্যাক ফাংগাস শরীরে ঢুকে পড়ে। এই যুবতীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলায় ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত আরও ৫ জন। এরপরেই উদ্বেগ বেড়েছে সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। জানানো হয়েছে ব্ল্যাক ফাংগাস সংক্রমণকেও এপিডেমিক রোগ হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে কেন্দ্রকে সে খবর জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস এই বিরল রোগে আক্রান্ত ৪ জন রোগীই বিহার এবং ঝাড়খন্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের এই সংক্রমণ ধরা পড়ে ৭ মে থেকে ১৩ মে-র মধ্য়ে। এবং এখানে আশঙ্কার বিষয় এটাই যে এই ৪ জন রোগীই আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। কোভিড থেকে সেরে উঠতেই আক্রান্ত হন ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস বিরল রোগে। মিউকরমাইকোসিস রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কারণে ২ জনকে দুর্গাপুর বেঙ্গল হেলথ ওয়ার্ল্ড হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চক্ষু হাসপাতালের সিএমডি দেবাশিস ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, ফের আদ্রতা চড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতায়, 'যশ'-র জেরে ২৬ মের পর বৃষ্টি বাড়ার আশঙ্কা
অপরদিকে মহারাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত প্রায় ৯০ জন। অতিমারী আইনে ব্ল্যাক ফাংগাসকে বিশেষ রোগ বলে ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। উল্লেখ্য মিউকরমাইকোসিস এই বিরল রোগ মিউকরমাইসেটিস ফাঙ্গি থেকে হয় । যা সরাসরি মস্তিষ্ক, সাইনাস এবং ফুসফুসকে আক্রমণ করে। সাইনাসের যন্ত্রণা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যাথা, ফোলা ভাব, দাঁতে ব্যাথা এই রোগের প্রথামিক উপসর্গ। ডায়বেটিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ খুব আশঙ্কা জনক।