সংক্ষিপ্ত

রাত পেরোলেই বিশ্ব ব্রেইল দিবস।  চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক শহরের কোথায় কোথায় দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা দান করা হয়।

 

রাত পেরোলেই বিশ্ব ব্রেইল দিবস (World Braille Day 2022 )। ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলি সবার প্রথমে ২০১৮ সালে এই দিনটি পালন করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়ে নিয়েছিল। ঠিক পরে বছর ২০১৯ সাল থেকে ওয়াল্ড ব্লাইন্ড ইউনিয়নয়েনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি উদযাপনের প্রথা শুরু হয়েছে। সারা দেশের মতো এরাজ্যেও দৃষ্টিহীন ছেলে-মেয়েদের আলো দেখায় শহরের একাধিক স্কুল। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক শহরের কোথায় কোথায় দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা (Blind schools in Kolkata) দান করা হয়।

শহরে দৃষ্টিহীনদের জন্য রয়েছে বেহালার ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুল। এর ঠিকানা ৬৪৩,ডিএইচ রোড, বেহালা , কলকাতা ৩৪। এর পাশাপাশি নপাডা় বিটি রোডে রয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিউটিউট ফর দ্য ভিস্যুয়ালি হ্যান্ডিক্যাপ্ট। কলকাতার জোকা এলাকায় ১০৪ মহাত্মা গান্ধী রোডে গেলে পাবেন  ডিএফ ব্লাইন্ড স্কুল। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে ১৭৪ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডে পাবেন লাইট হাউজ ফর দ্য ব্লাইন্ড। প্রসঙ্গত কোভিডে বর্ষে যেভাবে ভুক্তভুগী হয়েছে স্কুল পড়ুয়ারা, তার থেকে অনেকবেশি কঠিন পরিস্থিতি মুখোমুখি করতে হয়েছে এই দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের। তার অন্যতম কারণ স্কুলে গিয়ে যেভাবে ব্রেইলের মাধ্যমে তারা শিক্ষা পান, কোভিডের লকডাউন চলা কালীন সেই সুবিধাটা মেলেনি। তাই আর দশটা স্কুল বন্ধ থাকাকালীন অনলাইনে ক্লাস হলেও, এই সুযোগ সুবিধা সব সময় পায় না দৃষ্টিহীনরা। যদিও শুনে কম্পিউটারে টাইপ বা একাধিক কিছু করতে পারলেও ব্রেইলের অনুভূতিতা কখন কাগজের বদল অনলাইন স্ক্রিন পূরণ করে না। তাই স্কুলের ক্ষিদেটা থেকেই যায়।

প্রসঙ্গত, ব্রেইলকে বলা হয় দৃষ্টিহীনদের আত্মা। দৃষ্টিহীনদের জন্য এক একধরনের শিক্ষা পদ্ধতি। যাকে অনুসরণ করে , অক্ষরের উপরে আঙুল বুলে সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিহীন এবং আংশিক দৃষ্টিহীনেরা কোনও লেখা পড়ে উঠতে পারেন। স্বরলিপি তৈরির জন্যেও এই ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুনতে অবাক লাগলেও, এটা সত্যি যে মাত্র ১৫ বছর বয়েসে এক দৃষ্টিহীন কিশোর নিজের এং তার মতো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছিলেন এই পদ্ধতি। তাঁর নাম লুই ব্রেইল। ১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি ফ্রান্সে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। বলাই বাহুল্য, জনকের নামেই পরিচিত হয়েছে এই শিক্ষা পদ্ধতি। আর তাই লুই ব্রেইলের জন্মদিনকে স্মরণ রাখতেই প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব ব্রেইল দিবস। ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলি সবার প্রথমে ২০১৮ সালে এই দিনটি পালন করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়ে নিয়েছিল। ঠিক পরে বছর ২০১৯ সাল থেকে ওয়াল্ড ব্লাইন্ড ইউনিয়নয়েনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি উদযাপনের প্রথা শুরু হয়।