সংক্ষিপ্ত
- জৈব আপেলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বেশি থাকে
- এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াই থাকে আপেলের বীজে
- তার মধ্যে অধিকাংশই অবশ্য় মানবশরীরের জন্য উপকারী
- একটি আপেলের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে
আপেলের মধ্যে এমন গুণাবলী রয়েছে, যা কিনা যেকোনও রোগব্যাধি থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। চিকিৎসকরাও তাই উপদেশ দিয়ে থাকেন, দিনে অন্তত একটি করে আপেল খাবেন। কিন্তু যদি আপনি জানতে পারেন, একটি আপেলে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি একটি গবেষণায় এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম জীবনভর ভোগায়, কীভাবে রক্ষা পাবেন
গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অর্গানিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ জৈব উপায়ে যে সমস্ত আপেলের চাষ হয়, সে সব ক্ষেত্রে আপেলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার পরিমান অনেক বেশি। আর তার মধ্যে অধিকাংশই অবশ্য় মানবশরীরের জন্য উপকারী। ফলে আপেলের গুণগত মান এবং স্বাদ, দুইই ভাল হয়। এ ছাড়া, জৈব পদ্ধতিতে চাষ সবসময়ই পরিবেশের পক্ষে স্বাস্থ্য়কর। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্যাবরিয়েল বার্জ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাস আমাদের দেহের দখল নিয়ে নেয়। রান্না করা খাবার খেলে সে সব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সব মরে যায়। যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো ও সেগুলোও মরে যায়।
আরও পড়ুন, ছুটির দিনকে করে তুলুন আরও একটু স্পেশাল, বাড়িতে বানিয়ে নিন মালাই চমচম
সাধারণত ২৪০ গ্রাম একটি আপেলের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই থাকে আপেলের বীজে। অর্থাৎ বীজ ফেলে আপেল খেলে মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ ব্যাকটেরিয়া যাচ্ছে আমাদের শরীরে। জৈব উপায়ে চাষ করা আপেলে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমান অনেক বেশি থাকে। যে আপেলে রাসায়নিক সার, কীটনাশক নেই, সেই আপেলে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসের পরিমাণ খুবই বেশি। এর ফলে আমাদের কাছে এ ধরনের আপেলের উপকারিতাও বেশি। শুধু আপেল বীজ সমেত খেতে হবে, তাহলেই মিলবে উপকারিতা।