সংক্ষিপ্ত
যদি সত্যিই করোনা থাবা বসায় আপনার পরিবারে, তাহলে কি করবেন। মাথা ঠান্ডা করে হাতের কাছে রাখুন এই কয়েকটি প্রয়োজনীয় জিনিস।
সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪,২৮৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে রবিবার। যা ২০২০ সালে সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের পরে সর্বোচ্চ সংখ্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের সব রেকর্ড ভেঙেছে কলকাতার করোনা সুনামি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছেন প্রত্যেকে। বিশেষ করে চিন্তা বয়স্ক, শিশু ও একাধিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে।
যদি সত্যিই করোনা (Corona Virus) থাবা বসায় আপনার পরিবারে, তাহলে কি করবেন। মাথা ঠান্ডা করে হাতের কাছে রাখুন এই কয়েকটি প্রয়োজনীয় জিনিস (Important Things)। এর মধ্যে যেমন রয়েছে দরকারি ওষুধ (Medicines), তেমনই রয়েছে অক্সিমিটার থেকে হাসপাতালের ফোন নম্বরের তালিকা (Phone numbers)।
১. ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ডি থ্রি এবং জিঙ্ক ট্যাবলেট রাখা প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি চাই পুষ্টিকর খাবারও।
২. অল্প জ্বর, কাশি, গা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল রাখুন। জ্বর বারবার মাপুন। তাপমাত্রা বাড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. সহনশীল গরম জলে গার্গল করা এবং ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সাধারণত। কিন্তু ভেপার নেওয়ার ক্যাপসুল বাজারে সহজলভ্য। তাও কিনে রাখতে পারেন।
৪. হাতের কাছে রাখুন থার্মোমিটার, অক্সিমিটার। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এই সময় পরীক্ষা করা খুব জরুরি। প্রতি ছয় ঘন্টা অন্তর এই মাত্রা মাপতে হবে। শ্বাসকষ্ট থাকলে নজর রাখুন অক্সিজেনের লেভেলের দিকে।
৫. গার্গল করার জন্য বেটাডাইন মাউথওয়াশ রাখতে পারেন। নয়তো সাধারণ গরম জল দিয়েও গার্গল করলে উপকার পাবেন।
৬. ডায়েবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সি বি জি ব্লাড গ্লুকোজ মিটার সঙ্গে রাখতে হবে। অ্যালার্জির জন্য নেব্যুলাইজার যন্ত্র সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।
এর বাইরে কোনও ওষুধ খাবেন কিনা, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হাতের কাছে রাখুন চিকিৎসক বা নিকটবর্তী হাসপাতালের নম্বর। যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় ক্লাব বা সমাজসেবী সংস্থার সঙ্গেও, যারা করোনা রোগীদের সাহায্যের জন্য নিরন্তর কাজ করছেন।
করোনার প্রথম তরঙ্গের সময় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়েছিল ৪ হাজার ১৫৭। এর পর ২০২১ সালের চৌঠা মে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৬। এ বার ওই নজিরও টপকে গেল কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতি। একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ২৫ হাজার।
শুধু কলকাতাতেই রবিবার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে এক ধাক্কায়। পৌঁছে গিয়েছে নয় হাজারের কাছে। কলকাতা সংলগ্ন হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গড়ে পৌঁছে গেল ৩৪ শতাংশের কাছে। বাংলায় সক্রিয় রোগী প্রায় ৮০ হাজার।