সংক্ষিপ্ত

  • চিকিৎসকরা জানান, সকালের খাবারটাই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর হওয়া দরকার
  • দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্টটা সবচেয়ে ভারী খাওয়া উচিত তার আগে দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকে।
  • কিতাড়াহুড়োর বশে এই সকালের খাওয়া দাওয়াকেই সবচেয়ে বেশি ভুল ভ্রান্তি করে মানুষ
  • ওজন কমাতে বা সুস্থ থাকতে দুপুর ১২টার আগে পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া বিষয়ে বিশেষ  সচেতন থাকা উচিত

চিকিৎসকরা জানান, সকালের খাবারটাই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর হওয়া দরকার। দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্টটা সবচেয়ে ভারী খাওয়া উচিত তার আগে দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকে।  কিন্তু তাড়াহুড়োর বশে এই সকালের খাওয়া দাওয়াকেই সবচেয়ে বেশি ভুল ভ্রান্তি করে মানুষ। ওজন কমাতে বা সুস্থ থাকতে দুপুর ১২টার আগে পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া বিষয়ে বিশেষ  সচেতন থাকা উচিত। কিন্তু এই সময়েই সবচেয়ে বেশি ভুল হয়। 

চিকিৎসকরা বলছেন, কোনও একবেলার খাবার বাদ দিয়ে দেওয়া অথবা দেরীতে খাওয়া দাওয়া করলে সার প্রভাব খুব একটা ভালো  হয় না স্বাস্থ্য়ের উপরে। মন মেজাজও কেমন থাকবে অনেকটাই এর উপরে নির্ভর করে। দেখা যাক খাওয়া দাওয়া কোন অভ্যেসগুলি আপনার তাড়াতাড়ি ছাড়া উচিত- 

১) অফিস যাওয়ার তাড়া থাকায় অনেকেই ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে দেয়। এতে সারাদিন খিদে পায় এছাড়া গ্যাসের সমস্যা শুরু হতে পারে। যাঁরা নিয়মিত ভালো ব্রেকফাস্ট করেন তাঁদের হজম শক্তি ভালো হয়। 

২) আরও একটা ভুল আমরা প্রায়ই করে থাকি। তাড়াহুড়োয় পেট ভরানোর জন্য কোনও রকমে মুখে খাবার গুঁজেই দৌড় দেন অনেকে। ভালো করে খাবার না চিবিয়েই গিলে নেয়। এই অভ্যেস শরীরের পক্ষে ভালো নয়। এতে আদপে ক্ষতিই হয়। ধীরে ধীরে খাবার খান। 

৩) সকালে ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অনেকেই দুপুরে খাওয়ার পরে অথবা সন্ধে বেলায় ফল খান। এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। দুপুর ১২টার আগে ফল খান। এতে একদম টাটকা ফলও খেতে পারবেন আর শরীরে ফাইবার থেকে উপকারও পাবেন। 

৪)  অনেকেই তাড়াহুড়োয় সলিড ফুড না খেয়ে শেক, শরবৎ, ডিটক্স ওয়াটার, স্মুদিশ, ফ্রুট জুস খান। ক্ষণিকের জন্য পেট ভরলেও, আসলে এই অভ্যেস মোটেই ভালো নয়। জুস করেখেলে খাবারে পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। খাবারে ফাইবার থাকলে তা-ও নষ্ট হয়ে যায়। 

৫) সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে অনেকেরই ডিহাইড্রেটেড লাগে। এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাই শরীর থেকে টক্সিন বাদ দিতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকটা জল খেয়ে নিন। ব্রেকফাস্টেও এমন খাবার খান যার মধ্যে জলের পরিমাণ রয়েছে।