চুল পড়া, রুক্ষতা, দু’মুখো চুলের সমস্যায় ভুগছেন? রাতে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস করলে চুল পড়া কমে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।

বর্তমানে চুল পড়া, চুল রুক্ষ হওয়া, দু’মুখো চুল ও স্ক্যাল্প সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। এর পেছনে যেমন অপুষ্টি ও দূষণের ভূমিকা রয়েছে, তেমনই চুলের সঠিক যত্নের অভাবও দায়ী। ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাবে অনেকেই চুলের ন্যূনতম যত্ন নেন না। তবে দিনের শেষে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাত্র কয়েক মিনিট সময় দিলেই চুলের স্বাস্থ্যের অনেকটা উন্নতি ঘটানো সম্ভব। তার মধ্যে অন্যতম সহজ এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি হল—চুল আঁচড়ানো।

আসুন দেখে নি, রাতে চুল আঁচড়ানোর উপকারিতা কী কী?

১। চুল পড়া কমায়

চুল আঁচড়ালে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয়। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া প্রতিহত হয়। নিয়মিত এই অভ্যাস দু’মুখো চুলের সমস্যাও হ্রাস করে। সঠিকভাবে আঁচড়ানোর ফলে চুল থাকে ঝরঝরে ও সুস্থ।

২। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে

স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল দ্রুত বাড়ে। দিনে কয়েকবার চুল আঁচড়ানো গেলে ভালো হয়, কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে তা সম্ভব না হলে রাতে অন্তত একবার চুল আঁচড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি স্ক্যাল্পে সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গুণমান উন্নত করে।

৩। চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে

সারাদিন ধুলো, দূষণ, তেল এবং ঘামের কারণে চুল মলিন হয়ে পড়ে। ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়ালে চুল ও মাথার ত্বক থেকে ময়লা ও অতিরিক্ত তেল অনেকাংশে দূর হয়। এটি একধরনের প্রাকৃতিক ক্লিনজিং-এর কাজ করে।

৪। মানসিক চাপ কমায়

চুল আঁচড়ানোর সময় মাথার ত্বকে যে হালকা চাপ পড়ে, তা মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে। রাতে শোবার আগে এই অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ঘুমের মান ভালো করে। এই কারণেই অনেকে রাতে মাথায় হালকা তেল মালিশ করে থাকেন।

সারাংশ- সকালে ঘুম থেকে উঠে, স্নানের পর, বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেও চুল আঁচড়ান, কিন্তু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান কি? এই একটি অভ্যাস গড়ে তুললে চুলের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যাবে।