সংক্ষিপ্ত
আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী বিটরুট খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেই কোন কোন মানুষের বিটরুট খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
বিটরুট এমন একটি সবজি যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং অনেক খনিজ। বিটরুটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বিটরুট খাওয়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী। বিটরুট খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে কিন্তু কিছু মানুষের জন্য অসুবিধাও হতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী বিটরুট খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেই কোন কোন মানুষের বিটরুট খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
কিডনিতে পাথর-
বিটরুটে অক্সালেট নামক একটি উপাদান রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা আছে তাদের বিটরুট খাওয়া উচিত নয়। বিটরুট খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
নিম্ন রক্তচাপ-
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আগে থেকেই রক্তচাপ কম থাকে, তাহলে বিটরুট খেলে রক্তচাপ আরও কমতে পারে। এতে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বিটরুট খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। অথবা যদি খাওয়া খুব জরুরী হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুব অল্প পরিমাণে খান।
লিভারের সমস্যা থাকলে-
বিটরুটে উপস্থিত উপাদান লিভারের জন্য খুবই ভারী। বীটরুট খাওয়া লিভারের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলে, যা লিভারের উপর চাপ বাড়ায়।যদির ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে তা আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। লিভার ফুলে যেতে পারে, সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে এবং লিভার সংক্রান্ত রোগ মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই যাদের আগে থেকেই লিভারের কোনও রোগ আছে তাদের বিটরুট খাওয়া উচিত নয়। এটি লিভারের ক্ষতি করে আরও রোগের কারণ হতে পারে।
এলার্জি-
বিটরুটে অ্যালার্জির কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, লালভাব, চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে। যাদের বিটরুটে অ্যালার্জি আছে তাদের বিটরুট খাওয়া সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত।