সংক্ষিপ্ত

কফির সঙ্গে দুধ, চিনি মিশিয়ে তৈরি করা পানীয় এক মুহূর্তেই শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এর স্বাদও অসাধারণ। কিন্তু ব্ল্যাক বা কালো কফিতে তেমন স্বাদ লুকিয়ে নেই, এতে চিনি বা দুধ, কোনওটাই থাকে না। তারপরও অনেকেই ব্ল্যাক কফি খান। 

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয়গুলির মধ্যে রয়েছে কফি। ‘কফি বীজ’ নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো করেই তাতে বিভিন্ন ধরনের পানীয় যোগ করে পানযোগ্য কফি তৈরি করা হয়। পানীয় কফির মধ্যে অনেকের কাছেই জনপ্রিয় ব্ল্যাক কফি বা কালো কফি। অনেকেই এই পানীয় নিয়মিত পান করতে অভ্যস্ত। কিন্তু নিয়মিত কালো কফি পান করা কি ঠিক?

কফির সঙ্গে দুধ, চিনি মিশিয়ে তৈরি করা পানীয় এক মুহূর্তেই শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এর স্বাদও অসাধারণ। কিন্তু ব্ল্যাক বা কালো কফিতে তেমন স্বাদ লুকিয়ে নেই, এতে চিনি বা দুধ, কোনওটাই থাকে না। তারপরও অনেকেই ব্ল্যাক কফি খান। 
 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কালো বা ব্ল্যাক কফিতে লুকিয়ে রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই নিয়মিত খেতে পারেন এই পানীয়। নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন সেগুলো হল – 

 

১) কালো কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নতুন করে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কাও কমায়।

 

২) কালো কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়। শারীরিক শক্তিও বাড়াতে সহায়তা করে এটি। এতে চট করে খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়।



৩) কালো কফি খেলে সারা দিন অনেক বেশি সক্রিয় থাকা যায়। কাজেও অনেক বেশি মন দেওয়া যায়। অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে এই পানীয়। তাই শরীরচর্চা করার আগে কালো কফি খেতে পারেন।

 

৪) কেবল মেদ থেকেই নয়, শরীরে অতিরিক্ত জল জমলেও ওজন বাড়তে পারে। কালো কফি খেলে শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। তাই ‘ওয়াটার ওয়েট’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ব্ল্যাক কফি।


৫) কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। এক কাপ কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র দুই। আর ক্যাফিন বের করা কফি বীজ থেকে যদি কফি বানানো হয়, তা হলে সেটি ক্যালোরি শূন্য হয়।

 

তাই রোজকার ডায়েটে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন চিনি ছাড়া কালো বা ব্ল্যাক কফি। তবে দিনে ছোট কাপের এক কাপের বেশি এ পানীয় খেতে যাবেন না। এতে উপকারের চেয়ে অপকারিতাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।