আজকাল আমাদের মধ্যে অনেকরই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে। হাই কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি কিডনি রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই কারও হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে কালোজিরে নিয়ম মেনে সেবন করতে পারেন।

কালো জিরে শুধুমাত্র দারুণ ফোড়ণ হিসাবে রান্নার স্বাদবর্ধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তা-ই নয়, এই ছোট্ট কালো কালো দানার মধ্যে রয়েছে একাধিক ওষধি গুণ৷ এই বীজ একাধিক রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে৷

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কিষাণ লাল জানান, কালো জিরেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড-সহ একাধিক পুষ্টি উপাদান। এই বীজ থেকে অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়। কালো জিরেকে পুষ্টির পাওয়ার হাউসও বলা যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কালো জিরের কী কী উপকারিতা রয়েছে এবং তা কী ভাবে ব্যবহার করা উচিত৷

কালো জিরা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগগুলো রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও মোটা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন প্রায় ৫ গ্রাম কালো জিরার গুঁড়ো খেলে ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

** কালো জিরার মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রক্রিয়া :

* খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমানো: কালো জিরায় থাকা এনজাইমগুলো রক্তে অক্সিডাইজড LDL, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

* ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কালো জিরা গ্রহণ করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য: কালো জিরা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী যৌগ (যেমন থাইমোকুইনোন) সমৃদ্ধ, যা সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

* গবেষণার ফলাফল: ৮ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৫ গ্রাম কালো জিরার গুঁড়ো খাওয়ার একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে LDL, ট্রাইগ্লিসারাইড ও মোট কোলেস্টেরল কমার পাশাপাশি HDL বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।

** কালো জিরা ব্যবহারের পদ্ধতি :

* গুঁড়ো: প্রতিদিন প্রায় এক চা চামচ (প্রায় ৫ গ্রাম) কালো জিরার গুঁড়ো সরাসরি বা খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

* চা: কালো জিরা দিয়ে তৈরি চা পান করাও কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।