দুর্গাপূজা ২০২৫-এর শেষ দিনটি ঐতিহ্য ও স্বাদের এক উৎসব। বিজয়া দশমীর উৎসবকে সত্যি স্মরণীয় করে তুলতে এই সাতটি বাঙালি পদের স্বাদ নিতে ভুলবেন না, যা উৎসবের আমেজকে পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলে।
দুর্গাপূজার শেষ দিন, বিজয়া দশমী, আনন্দ, কোলাকুলি এবং অবশ্যই সুস্বাদু খাবারে ভরা এক জমকালো উৎসব। আমরা যখন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে একত্রিত হই, তখন উৎসবের ভোজ দিনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে। আপনি বাংলায় বা বিশ্বের যেখানেই এই উৎসব পালন করুন না কেন, দুর্গাপূজার শেষ দিনের আমেজকে পুরোপুরি উপভোগ করতে এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী পদ অবশ্যই চেখে দেখা উচিত।
১. খিচুড়ি
খিচুড়ি ছাড়া বিজয়া দশমীর ভোজ অসম্পূর্ণ। এটি চাল, ডাল এবং হালকা মশলা দিয়ে তৈরি একটি আরামদায়ক, সুগন্ধী খাবার। প্রায়শই এটি মুচমুচে বেগুন ভাজা, আলুর দম এবং চাটনির সাথে পরিবেশন করা হয়। খিচুড়ি যেমন সহজ, তেমনই মন ভরানো একটি পদ।
২. লাবড়া
লাবড়া হলো একটি মিক্সড সবজির তরকারি, যা মরসুমী সবজি দিয়ে হালকা সর্ষের স্বাদের গ্রেভিতে রান্না করা হয়। এর স্বাস্থ্যকর স্বাদ অন্যান্য উৎসবের খাবারের পরিপূরক এবং খাবারে একটি পুষ্টিকর ভারসাম্য যোগ করে।
৩. সর্ষে ইলিশ
ইলিশ মাছ, যা বাঙালি খাবারের গর্ব, দুর্গাপূজার সময় এক রাজকীয় মর্যাদা পায়। সর্ষের সসে রান্না করা সর্ষে ইলিশ একটি টক-ঝাল, সুস্বাদু পদ, যার জন্য উৎসবের দিনগুলিতে অনেকেই অপেক্ষা করে থাকেন।
৪. বেগুন ভর্তা
বেগুন ভর্তা একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয় বাঙালি সাইড ডিশ। এটি পোড়া বেগুন মেখে সর্ষের তেল, কাঁচা লঙ্কা এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এটি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয় এবং খাবারে একটি স্মোকি, ঝাল স্বাদ যোগ করে।
৫. মাছের ঝোল
ইলিশের পাশাপাশি, মাছের ঝোল নামক একটি হালকা মাছের তরকারিও বিজয়ার ভোজে থাকে। এটি একটি হালকা মশলাদার, সুগন্ধী ঝোল যা ভারী খাবারের সাথে দারুণ ভারসাম্য বজায় রাখে।
৬. সন্দেশ ও রসগোল্লা
বাঙালি মিষ্টি ছাড়া কোনো দুর্গাপূজা সম্পূর্ণ হয় না। শেষ দিনে, সন্দেশ (নরম, দুধ-ভিত্তিক মিষ্টি) এবং রসগোল্লার (ছানা থেকে তৈরি স্পঞ্জি রসে ভরা বল) মতো ক্লাসিক মিষ্টির স্বাদ নিন। এই মিষ্টিগুলো উৎসবের খাবারের একটি মধুর সমাপ্তি ঘটায়।
৭. মিষ্টি দই
সবশেষে, বিখ্যাত মিষ্টি দই দিয়ে আপ্যায়ন করুন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করা এই মিষ্টি দই খুবই রিফ্রেশিং এবং জমকালো ভোজের পর মুখের স্বাদ ফেরানোর জন্য উপযুক্ত।


