ফুড এক্সপার্ট জেনিন ডোনোফ্রিওর মতে, ওভেনে মধু দিয়ে গাজর রোস্ট করলে তা অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। এই সহজ পদ্ধতিতে গাজরের প্রাকৃতিক মিষ্টিভাব বেড়ে যায় এবং এটি একটি পারফেক্ট সাইড ডিশে পরিণত হয়। এই প্রতিবেদনে গাজরের পুষ্টিগুণ সহ সম্পূর্ণ রেসিপিটি দেওয়া হয়েছে।
গাজর আমাদের বাড়িতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সবজিগুলোর মধ্যে একটি। গাজরের স্যুপ, গাজরের স্যালাড, গাজরের পরোটা সাধারণত সব বাড়িতেই তৈরি হয়। মিক্সড ভেজিটেবলেও এটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর বেশিরভাগ বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে না। শুধু তাই নয়, অনেক সময় বড়রাও খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে যান। তাহলে চলুন, ফুড এক্সপার্ট জেনিন ডোনোফ্রিওর বলা গাজরের রেসিপিটি ট্রাই করে দেখা যাক।
জেনিন ডোনোফ্রিওর গাজর রোস্ট রেসিপি
Love and Lemons-এর ক্রিয়েটর জেনিন ডোনোফ্রিও (Jeanine Donofrio) জানান যে, আপনি যদি ওভেনে সামান্য মধু দিয়ে গাজর রোস্ট করেন, তাহলে আপনার রোজ এটি খেতে ইচ্ছে করবে। জেনিন বলেন, "আমার জন্য রোস্টেড গাজর একটি পারফেক্ট ভেজিটেবল সাইড ডিশ। এটি তৈরি করা সহজ এবং স্বাদে অসাধারণ। ওভেনের তাপ গাজরের প্রাকৃতিক মিষ্টিভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে গাজর নরম এবং তুলতুলে হয়ে যায়, ওপরটা হালকা ক্রিস্পি এবং ক্যারামেলাইজড থাকে। শুধু অলিভ অয়েল, লবণ এবং গোলমরিচই নয়, সামান্য মধু যোগ করলে গাজরের ওপর একটি হালকা গ্লেজ আসে, যা এটিকে আরও সোনালী এবং ক্যারামেলাইজড করে তোলে এবং খেতে দারুণ লাগে।"
গাজর রোস্ট করার সহজ উপায়
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
৪৫০ গ্রাম গাজর
১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
১ চা চামচ মধু
কুচানো ধনে পাতা
নুন এবং গোলমরিচ
গাজর রোস্ট বানানোর পদ্ধতি
প্রথমে ওভেন ২২০°C তাপমাত্রায় প্রি-হিট করে নিন এবং বেকিং ট্রে-তে বাটার পেপার বিছিয়ে দিন।
গাজর প্রায় ৫ সেন্টিমিটারের টুকরো করে কেটে একটি বড় বাটিতে রাখুন।
এবার এতে অলিভ অয়েল, মধু, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
গাজরের টুকরোগুলো ট্রে-তে একটি লেয়ারে ছড়িয়ে দিন।
১৫-২৫ মিনিট ওভেনে রোস্ট করুন, যতক্ষণ না গাজর নরম, সোনালী এবং ক্যারামেলাইজড হয়ে যায়।
তৈরি গাজরের ওপর ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
গাজরে কোন কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়?
ভিটামিন এ (বিটা-ক্যারোটিন) - চোখের দৃষ্টি এবং ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
ভিটামিন কে১ - হাড়ের মজবুতি এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
পটাশিয়াম - রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ফাইবার - হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট - শরীরকে ফ্রি-র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।


