সংক্ষিপ্ত

পাল্টামেন্টের মেনুতে বাজরার একাধিক পদ রাখা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজরার তৈরির পদ থাকছে বাজরার মেনুকে।

২০২৩ সাল বাজরাকে আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বাজরা নিয়ে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশের মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাজরা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে জি-২০ সম্মেলনে বাজরার নিয়ে নতুন কোনও পদক্ষেপ করতে পারে। ২৬ জানুয়ারির প্য়ারেডেও বাজরা নিয়ে একটি ট্যাবলো করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার আসন্ন বাজেট অধিবেশন উপলক্ষ্যে সংসদের মেনুতেও ঠাই পেয়েছে বাজরা।

সূত্রের খবর পাল্টামেন্টের মেনুতে বাজরার একাধিক পদ রাখা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজরার তৈরির পদ থাকছে বাজরার মেনুকে। তালিয়া রয়েছে- ওটস মিস্ক, সয়া দুধ, রাগি মাতর কা শোরবা, বাজরা পেয়াজ কা মুথিয়া, শাহি বাজরে কি টিক্কি, চিনা বাদামের চাটনি, রাগি দোসা, আমরান্থ সালাদ, কোরা বাজারা সালাদ।

২০১৮ সালে ভারত রাষ্ট্র সংঘের কাছে আন্তর্জাতিক বাজরা বছরের স্বীকৃতি চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। ৬ বছর পরে ২০২৩ সালে রাষ্ট্র সংঘ মনোনীত আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসেবে পালিত হচ্ছে।

গোটা বিশ্বের ৬ হাজার জাতের বাজরা তৈরি হয়। হুলসাম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেঘনা নারায়ণ বলেছেন, রাগি, জোয়ার এবং বাজরার মতো বাজরা, শত শত বছর ধরে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দ্বারা খাওয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ভারতে একচেটিয়া ধান আর গম চাষের আগেই বাজরা, রাগির মত ফসলগুলি বেশি পরিমাণে চাষ করা হত। ১৯৬০ সালে সবুজ বিপ্লবের পরই বাজরার চাষ কমে যায়। কারণ তখন উচ্চ ফলনশীল ধান আর গমের দিকেও ফোকাস করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাজরা স্বাদহীন খারাব। কিন্তু এটি দিয়ে নানা সুস্বাদু রান্না করা যেতে পারে। বাজরার পোলাও, খিচুড়ি, তৈরি করা যেতে পারে। যা সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার। লাঞ্চের পাশাপাশি ডিনারেও বাজরা উপকারী। এটি একটি গ্লুটেন মুক্ত খাবার। যে কোনও সবজি দিয়ে বাজরা রান্না কা যায়। টিফিনের খাবার হিসেবেই বাজরা জনপ্রিয় হতে পারে। বাজরার উপমা, পোহা ইতিমধ্যেই বাজারে আসছে। বাজরার পাশাপাশি জোয়ার বা রাগি দিয়ে কুকিজ তৈরি করা শুরু হয়েছে। যা রীতিমত সুস্বাদু।