সংক্ষিপ্ত
বেশিরভাগ লোকজন সবুজ আপেলের চেয়ে লাল আপেল খেতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু, যদি দু'জনকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন আপেল বেশি স্বাস্থ্যকর এবং কোনটি খাওয়া উচিত, তাহলে সম্ভবত খুব কম সংখ্যকই সঠিক উত্তরটি দিতে পারবেন।
আপেলে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই বড়রা সব সময় বলতেন প্রতিদিন অন্তত একটা আপেল খাওয়া উচিত। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন লাল না সবুজ কোন আপেলের পুষ্টিগুণ বেশি! এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কী? দুটির মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এই বিষয়ে-
ডায়েটিশিয়ানদের মতে সবুজ আপেল স্বাদে টক এবং ত্বক পুরু এবং লাল আপেল মিষ্টি-রসালো এবং পাতলা চামড়ার। এই কারণেই প্রায় বেশিরভাগ লোকজন সবুজ আপেলের চেয়ে লাল আপেল খেতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু, যদি দু'জনকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন আপেল বেশি স্বাস্থ্যকর এবং কোনটি খাওয়া উচিত, তাহলে সম্ভবত খুব কম সংখ্যকই সঠিক উত্তরটি দিতে পারবেন।
সবুজ এবং লাল আপেলের মধ্যে পার্থক্য কি?
এই দুটি আপেলেরই আলাদা আলাদা উপকারিতা রয়েছে। সবুজ আপেলে লাল আপেলের চেয়ে বেশি ফাইবার থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেট ও চিনির পরিমাণও লাল আপেলের তুলনায় কম। সবুজ আপেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো। একইসঙ্গে লাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রোধ করতে সাহায্য করে।
কোন আপেল স্বাস্থ্যকর-
পুষ্টিবিদের মতে, যেহেতু দুটি আপেলের পুষ্টিতে সামান্য পার্থক্য রয়েছে, তাই দুটি আপেলই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্য অবস্থা বা শারীরিক চাহিদার উপর। অন্যদিকে লাল আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি যা শরীরে অনেক উপকার করে। ফলে আপেল দুটিই শরীরের জন্য উপকারী। সবুজ এবং লাল উভয় আপেলে কিছু মৌলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে, স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাজারে লাল আপেল বেশি বিক্রি হয় আর সবুজ আপেলের দাম লাল আপেলের তুলনায় বেশি। এই কারণে মানুষ লাল আপেল খেতে বেশি পছন্দ করে।