Hair Fall Control: আপনার রোজকার ডায়েটে এমন কিছু খাবার আছে চুলের পুষ্টি কেড়ে নিয়ে তাকে করে তোলে দুর্বল ও রুক্ষ। তাই সুস্থ চুলের জন্য খাদ্য বাছুন সাবধানে।

Hair Fall Control: অকালে চুল পড়া আজকাল সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণ, হরমোনের সমস্যা বা চুলের অযত্ন যেমন এর জন্য দায়ী, ঠিক ততটাই দায়ী রোজকার খাবারের মধ্যেও লুকিয়ে অস্বাস্থ্যকর উপাদানসমূহ। কিছু গবেষণাতে দেখা গেছে, অতি সাধারণ অথচ পুষ্টিহীন, অতিরিক্ত শর্করা বা রাসায়নিকযুক্ত খাবার চুলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে চুলের গোড়া দুর্বল, রুক্ষ ও প্রাণহীন চুল ঝরে পড়ছে অকালে। চুল পড়া রুখতে চাইলে আজই এই ধরণের খাবার গুলিকে রোজের খাদ্যতালিকা থেকে দূরে রাখুন।

১। সিম্পল কার্বোহাইড্রেট

খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট দু ধরনের হয় 'সিম্পল' এবং 'কমপ্লেক্স'। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের সাধারণত শর্করা ছাড়াও ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে যা পরিমিত খাওয়া জরুরী। চিনি, ময়দা, বেকারি পণ্য, ফলের রস ইত্যাদি সিম্পল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে পড়ে, যাতে কেবল শর্করা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা দেখা দেয়। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই ধরনের খাবার খেলে মাথার ত্বক সেবামের ক্ষরণ বেশি হয়। তা থেকে বাড়ে প্রদাহ, যা চুলের গোড়ার ক্ষতি করতে পারে। শুধু তা-ই নয় এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে মাথার ত্বকের রক্ত সংবাহক নালীর ক্ষতি করতে পারে। যা চুল বাড়তে দেবে না।

তাই প্যাকেটজাত খাবার, মিষ্টি, রিফাইনড ফ্লাওয়ার দিয়ে তৈরি খাবার - এসবই এড়িয়ে চলুন।

২। পারদযুক্ত মাছ

মাছ স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু মাছের মধ্যে পারদ পাওয়া যায়, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় জানা যায়, চুলের জন্য পারদ বেশি থাকা মাছ ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পারদ শরীরে সঞ্চিত হয়ে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে কাতলা, ইলিশ, সুরমাই মাছের মধ্যে তুলনামূলক বেশি পারদ থাকতে পারে। বিদেশী কিছু মাছ, যেমন স্যামন ও টুনার মধ্যে পারদের মাত্রা আরও বেশি।

কম পারদযুক্ত মাছ, যেমন রুই, পমফ্রেট, ভেটকি বা আরো ভালো হয় যদি ছোট মাছ বেছে নেন রোজকার খাবারের তালিকায়।

৩। সফ্ট ড্রিংক

সোডা, কোলা, প্যাকেটজাত ফলের রস ইত্যাদি পানীয়তে উচ্চ মাত্রায় শর্করা থাকে, যা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ধরনের পানীয় চুল পড়ার হার বাড়াতে পারে।

কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস, ফ্লেভারড ওয়াটার বা কৃত্রিম মিষ্টি দেওয়া জুস -এসব এড়িয়ে চলুন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।