Food Tips: সুবিধার খাতিরে দোকান থেকে কেনা আদা-রসুন বাটায় রান্না ব্যস্ত জীবনে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু দ্রুত ও ঝক্কি ছাড়া রান্না করতে গিয়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো? কাজের সুবিধা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপোষ নয়।
Food Tips: আদা ও রসুন—এই দুই উপাদান ভারতীয় রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আধুনিক ব্যাস্ত জীবনধারায় রোজ আদা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট বানিয়ে রান্না করা সময় সাপেক্ষ এবং ঝামেলার। ফলে অনেকেই বিকল্প হিসেবে বাজারচলতি জিন্জার-গার্লিক পেস্ট ব্যবহার করেন, যা দোকান কিংবা অনলাইন থেকে সহজেই পাওয়া যায়।
কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ঘটনা আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করবে যে দোকানের আদা রসুন পেস্ট খাবেন কিনা। হায়দরাবাদ শহরে ৮৭০ কিলোগ্রামেরও বেশি ভেজাল আদা-রসুন বাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কারখানায় বানানো সেই বাটাগুলির মধ্যে এমন কিছু উপাদান পাওয়া গিয়েছে যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।
কারখানায় তৈরি প্যাকেটজাত আদা-রসুন বাটায় সাধারণত যেসব ক্ষতিকারক উপাদান থাকে-
১। টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড
বাটার রং উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী করতে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত রং ও প্লাস্টিকে ব্যবহৃত হয়। এটি অন্ত্রের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং ডিএনএ-র উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
২। সাইট্রিক অ্যাসিড বা মোনো সাইট্রেট
পেস্টে সুগন্ধ ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও এটি হজমে সমস্যা ও অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
৩। কৃত্রিম খাদ্যরঞ্জক
উজ্জ্বল রঙ আনতে কৃত্রিম রং যোগ করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, অ্যালার্জি ও হরমোনজনিত সমস্যার সম্ভাবনা তৈরি করে।
৪। জ্যান্থান গাম
পেস্ট ঘন ও মসৃণ রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়, তবে অতিরিক্ত গ্রহণে ডায়রিয়া, ফোলাভাব বা অন্ত্রের অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
৫। পচা বা নিম্নমানের উপাদান
উৎপাদন খরচ কমাতে অনেক সময় পচা আদা-রসুন, চাল বা ডালের গুঁড়ো, এমনকি চকের গুঁড়ো মেশানো হয়।
দোকান থেকে কেনা পেস্ট ভেজাল, তা কীভাবে শনাক্ত করবেন?
* রং : স্বাভাবিক আদা-রসুন বাটার রং হালকা বেজ বা ফ্যাকাশে হলুদ হয়। অতিরিক্ত সাদা বা চকচকে রং রাসায়নিকের ইঙ্গিত।
* গন্ধ : তীব্র প্রাকৃতিক ঘ্রাণ থাকা উচিত। টকটকে বা কৃত্রিম গন্ধ থাকলে বুঝতে হবে প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল দেওয়া হয়েছে।
* টেক্সচার : খাঁটি বাটা মসৃণ হয়। কিছুদিন পর জল ছাড়তে শুরু করলে বুঝতে হবে, ভেজাল উপাদান রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


