সংক্ষিপ্ত

স্যুপ থেকে সালাদ, ছোলা যে কোনও ধরনের খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, যখন কালো এবং সাদা কাবুলি ছোলা বেছে নেওয়ার কথা আসে, তখন অনেকেই বিভ্রান্ত হন। আজ আমরা আপনাদের জানাবো এই দুটি ছোলার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর।

 

কাবুলি ছোলা অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং অনেক খনিজ পদার্থ এতে পাওয়া যায়। স্যুপ থেকে সালাদ, ছোলা যে কোনও ধরনের খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, যখন কালো এবং সাদা কাবুলি ছোলা বেছে নেওয়ার কথা আসে, তখন অনেকেই বিভ্রান্ত হন। আজ আমরা আপনাদের জানাবো এই দুটি ছোলার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর।

কাবুলি এবং কালো ছোলা উভয়েরই অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তবে উভয়ের পুষ্টির পরিমাণ ভিন্ন। কাবুলি ছোলার তুলনায় কালো ছোলায় প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ কিছুটা বেশি। আয়রনের পাশাপাশি এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কালো ছোলার তুলনায় ছোলায় কম ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যারা ন্যূনতম ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে চান তাদের জন্য ছোলা একটি ভালো বিকল্প। কাবুলি ছোলাতে ফাইবারের পরিমাণ প্রতি ১০০ গ্রামে ১২ গ্রাম পর্যন্ত। যদিও কালো ছোলায় ১৮ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা কাবুলি ছোলার চেয়ে বেশি।

কোন ছোলা বেশি উপকারী?

একইভাবে, যদি আমরা প্রোটিনের পরিমাণের কথা বলি, তাহলে কাবুলি ছোলাতে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। যেখানে কালো ছোলা থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ছোলার চেয়ে কালো ছোলায় আরও অনেক পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। পুষ্টির ভিত্তিতে কথা বললে, কালো ছোলা খাওয়া আরও উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। কারণ এই গ্রামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) খুবই কম।

যদি উভয় ছোলাকে পুষ্টির কথা মাথায় রেখে তুলনা করা হয়, তবে কালো ছোলাকে হাড় মজবুত করার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী বলা হয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় বা রক্তশূন্যতা দূর করে।

কালো ছোলা খাওয়ার সময় সাবধান-

কালো ছোলা সীমিত পরিমাণে খাওয়া হলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম থেকেও মুক্তি পেতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি শরীরে শক্তি জোগায়। তবে কালো ছোলা খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ফাইবার খেলে পেট খারাপ হতে পারে। বেশি ছোলা খেলেও ওজন বাড়তে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।