সংক্ষিপ্ত

তিলের দুধ : তিলের দুধ সম্পর্কে কখনও শুনেছেন? যদি না শুনে থাকেন, তাহলে এই পোস্টে এর তৈরির পদ্ধতি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

আপনারা গরুর দুধ, সয়াবিনের দুধ, বাদামের দুধ ইত্যাদি সম্পর্কে শুনেছেন এবং সেগুলো খানও অনেকে। কিন্তু, তিলের দুধ সম্পর্কে কখনও শুনেছেন? সাধারণত তিল থেকে তেল, লাড্ডু, মিষ্টি ইত্যাদি তৈরি করতেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু তিলের বীজ জলে ভিজিয়ে তিলের দুধ তৈরি করা যায়। তিলের বীজ থেকে তৈরি দুধে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বলতে গেলে, এতে সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, তামা, প্রোটিন এবং আরও অনেক ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণ এতে ভরপুর। তাই এখন তিলের দুধ তৈরির পদ্ধতি এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে এই পোস্টে জেনে নেওয়া যাক।

তিলের দুধ তৈরির পদ্ধতি:

উপকরণ:

কালো (বা) সাদা তিল - ১ কাপ
জল - ১/২ কাপ
ভ্যানিলা পাউডার - ৩ চা চামচ
গুড় - ১ চা চামচ

প্রণালী:

প্রথমে একটি বড় পাত্রে তিলগুলো ভালো করে ধুয়ে জল দিয়ে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তিল ভালো করে ফুলে উঠলে, ব্লেন্ডারে জল-সহ ব্লেন্ড করুন। তারপর দুধ ছেঁকে আলাদা করে নেবেন। এরপর ভ্যানিলা পাউডার এবং এক চা চামচ গুড় মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। ব্যাস, তিলের দুধ তৈরি!

তিলের দুধের উপকারিতা:

হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:

তিলের দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায়, এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং হাড়ের সমস্যা কমায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে:

তিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি পাচনতন্ত্র এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও ওজন কমাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তিলের দুধ পান করলে পাচন ক্রিয়া উন্নত হয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর ফলে সহজেই ওজন কমানো যায়।

প্রদাহ কমায়:

তিলের দুধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শরীরে প্রদাহ কমায় এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:

তিলের দুধে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। বিশেষ করে এতে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে। তাই তিলের দুধ পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বকের জন্য ভালো:

তিলের দুধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকায়, এটি ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং আর্দ্রতা প্রদান করে। এছাড়াও ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে:

পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে তিলের দুধ সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

তিলের বীজে জিঙ্ক, তামা, আয়রন, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৬ থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই তিলের দুধ পান করলে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
 
তিলের দুধে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।