Food Tips: রোজের খাদ্যাভ্যাসে খানিক নজর দিলেই অসুখের হঠাৎ আক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়। জ্বরের সময়ে ও সেরে ওঠার পরে কী কী খাবেন ও কোন কোনটি বাদ দেবেন, তা জেনে রাখা জরুরি।
Food Tips: ভাইরাল জ্বর সারার পরেও দুর্বলতা থাকলে সহজে হজম হয় এমন খাবার যেমন নরম ভাত, ডাল, খিচুড়ি, ওটস, ডিম, মাছ, মুরগি (চর্বি ছাড়া) খেতে পারেন। সাথে কলা, আপেল, পেঁপে, কমলালেবু, ডাবের জল ও ওরস্যালাইন দিয়ে শরীরকে শক্তি দিন ও ডিহাইড্রেশন দূর করুন। আদা, হলুদ, রসুন ব্যবহার করুন এবং ভারী, ভাজা, বেশি মশলাদার, ঠান্ডা খাবার, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। বিশ্রাম, জল পান এবং পুষ্টিকর খাবারই এই দুর্বলতা কাটানোর মূল চাবিকাঠি।
জ্বর হলে কী কী খাবেন?
* তরল খাবার: ওরস্যালাইন, ডাবের জল, ভাতের মাড়, তাজা ফলের রস (চিনি ছাড়া), ফলের স্মুদি, সবজির স্যুপ, পাতলা মুগ ডালের জল, আদা চা।
* সহজে হজমযোগ্য খাবার: নরম ভাত, ডাল (মুগ, মসুর), খিচুড়ি (ডাল-চাল-সবজি), ওটস, রাগি, ইডলি।
* প্রোটিন: ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগি (চর্বি ছাড়া), দই, পনির, ছোলা, সয়াবিন।
* ভিটামিন ও মিনারেলস: কলা (পটাসিয়াম ও শক্তি), আপেল, পেঁপে, সাইট্রাস ফল (ভিটামিন সি), গাজর, পালং শাক (ভিটামিন ও মিনারেলস)।
* অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: আনারস, পেঁপে, রসুন, হলুদ, আদা, কালো গোলমরিচ।
* জ্বরের পরে ( সেরে ওঠার সময়) যা যা খাবেন :
* পুষ্টির ভারসাম্য: আগের তালিকা অনুযায়ী প্রোটিন (ডিম, মাছ, ডাল), কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ওটস) এবং ভিটামিন (ফল, সবজি) রাখুন।
* শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রতিদিনের খাবারে ঘি, বাদাম যোগ করুন; তাজা ফল ও সবজি বেশি খান।
* অন্ত্রের স্বাস্থ্য: দই ও লাচ্ছি হজমে সাহায্য করবে।
* যা খাবেন না :
* ভারী খাবার: ভাজাভুজি, বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড।
* ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল: চা, কফি, অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশন বাড়াতে পারে।
* ঠান্ডা খাবার: ঠান্ডা জল, আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয় (যদি গলা বা পেটে সমস্যা থাকে)।
* অতিরিক্ত টক/তেঁতুল: কিছু ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
* গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
বিশ্রাম: শরীরকে পুরোপুরি সারিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট বিশ্রাম অপরিহার্য।
জল: প্রচুর পরিমাণে জল, ওরস্যালাইন, ফলের রস পান করে শরীরকে সতেজ রাখুন।
ধীরে ধীরে শুরু: প্রথমে তরল খাবার, তারপর নরম খাবার, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাবারে ফিরুন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: দুর্বলতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


