ফ্রিজে রাখা এই ৫টি জিনিস হুড়মুড়িয়ে মোটা করে আপনাকে! জানতেন?

ফ্রিজে রাখা কিছু খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জ্যাম, জুস, সস, আইসক্রিম এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস ওজন বাড়ানোর প্রধান কারণ। এগুলো এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজে নিন। 

Image Credit : Gemini

প্রতিটি বাড়িতেই ফ্রিজ দেখা যায়। মানুষ জিনিসপত্র তাজা এবং ঠান্ডা রাখতে ফ্রিজ ব্যবহার করে। আপনার ফ্রিজ ঠান্ডা করে, কিন্তু ফ্রিজে রাখা কিছু জিনিস আপনার স্বাস্থ্যের অন্দরেই ক্ষতি করছে। 

Image Credit : Getty

বিশেষ করে সেই জিনিসগুলো যা দেখতে ঠান্ডা, মিষ্টি এবং মজাদার লাগে, কিন্তু ভিতরে শরীরকে অলস, মোটা এবং অসুস্থ করে তোলে। 

Image Credit : freepik

আসুন জেনে নেই সেই ৫টি ফ্রিজ ফুড সম্পর্কে যা দ্রুত ওজন বাড়ায় এবং কেন এগুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি:

Image Credit : Freepik

জ্যাম – সকালের শুরুতে লুকিয়ে থাকা মিষ্টির বিষ

• জ্যামে প্রায় ৭০-৮০% চিনি থাকে এবং খুব সামান্য পরিমাণে ফল থাকে।
• এটি আপনার রুটিকে সুস্বাদু করে তোলে, কিন্তু পেটকে মেদে ভরে দেয়।
• প্রতিদিন সকালে রুটি-জ্যাম খাওয়া মানে দিনের শুরু খালি ক্যালোরি দিয়ে করা।
• স্বাস্থ্যকর বিকল্প: চিনি ছাড়া পিনাট বাটার, ফলের চাটনি বা বাড়িতে তৈরি ফলের স্প্রেড।

Image Credit : Freepik

টেট্রা প্যাক ফলের জুস – ফলের নাম, চিনির কাজ

• এগুলোতে আসল ফল কম এবং চিনির সিরাপ, অ্যাসিড এবং কৃত্রিম স্বাদের পরিমাণ বেশি থাকে।
• এই জুস আপনার শরীরকে শক্তি দেয় না, বরং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়, যা দ্রুত ক্ষুধাও বাড়ায়।
• ফলাফল – বেশি খাওয়া এবং দ্রুত মোটা হওয়া।
• স্বাস্থ্যকর বিকল্প: তাজা ফলের রস বা সরাসরি ফল খাওয়া।

Image Credit : Freepik

সস এবং কেচাপ – মিষ্টি বিষ

• আপনার মনে হতে পারে এটি টমেটো দিয়ে তৈরি, কিন্তু বাস্তবে এতে ৫০% পর্যন্ত চিনি, প্রিজারভেটিভ এবং লবণ থাকে।
• কেচাপ শুধু স্বাদ বাড়ায়, পুষ্টি দেয় না। বরং এটি আপনার ক্যালোরি গ্রহণ চুপিচুপি বাড়িয়ে দেয়।
• প্রতিদিন অল্প অল্প করে খেলেও এটি মোটা হওয়ার বড় কারণ হতে পারে।
• স্বাস্থ্যকর বিকল্প: বাড়িতে তৈরি পুদিনা-দই ডিপ বা ধনেপাতার চাটনি।

Image Credit : Freepik

আইসক্রিম – ঠান্ডা মিষ্টি মোটা হওয়া

• আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে চিনি, ফ্যাট, ক্রিম এবং প্রিজারভেটিভ থাকে।
• এটি আপনার শরীরের মেদ জমা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং বারবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে।
• বাচ্চা থেকে বড়, সবার পেটের মেদ বাড়ানোর জন্য এটি দায়ী।
• স্বাস্থ্যকর বিকল্প: ফ্রোজেন ফলের দই বা কলা দিয়ে তৈরি ঘরে তৈরি আইসক্রিম।

Image Credit : istocks

কোল্ড ড্রিঙ্ক, পেপসি, কোকা-কোলা – মিষ্টি বিষের ঠান্ডা রূপ

• এই পানীয়গুলো শুধু চিনির দ্রবণ – এক গ্লাসে ৭-৮ চামচ পর্যন্ত চিনি থাকতে পারে!
• এগুলোতে কোন পুষ্টি উপাদান নেই, শুধু খালি ক্যালোরি থাকে যা সরাসরি মেদ হয়ে পেট, উরু এবং কোমরে জমা হয়।
• নিয়মিত সেবনে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ফ্যাটি লিভার এবং মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
• স্বাস্থ্যকর বিকল্প: লেবু জল, ডাবের জল বা বাড়িতে তৈরি বেলের শরবত।