খেজুর শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যেরও ভান্ডার। পাচন থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন, প্রতিদিন ২ টি খেজুর খাওয়ার অগণিত উপকারিতা রয়েছে।
খেজুর খেতে সব বয়সী মানুষেরই পছন্দ। স্বাদে মিষ্টি এবং সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এটি একটি দুর্দান্ত নাস্তা হিসেবেও খাওয়া যায়। খেজুরের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত ভালো। যদিও এগুলি শুকনো, তাই তাজা ফলের তুলনায় এতে বেশি ক্যালরি থাকে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ টি খেজুর খেলে আপনি অনেক আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকার পেতে পারেন। আসুন জেনে নিই এর উপকারিতা:
১.পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে
খেজুরে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার পাচনশক্তি উন্নত করে এবং মলত্যাগ নিয়মিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুটি খেজুর খেলে মলত্যাগের হার বৃদ্ধি পায়। দ্রবণীয় ফাইবার জল শোষণ করে মলকে নরম করে, অন্যদিকে অদ্রবণীয় ফাইবার মলে আয়তন যোগ করে। খেজুরের ফাইবার অন্ত্রে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বেঁধে বাইরে বের করে দেয়।
২. রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
খেজুরে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস, আলঝেইমার এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ক্যারোটিনয়েড হৃদস্থ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং চোখের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ফেনোলিক অ্যাসিডের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৩. দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক
খেজুরে থাকা উদ্ভিদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি কোষের ক্ষতি রোধ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশের সম্ভাবনা কমায়।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
মিষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যখন ১৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন তিনটি খেজুর খেয়েছেন, তাদের মোট কোলেস্টেরল কমেছে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বেড়েছে। খেজুরের কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
৫. হাড় মজবুত করে
খেজুরে কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা হাড় গঠন এবং শক্তিশালী করতে সহায়ক। প্রতিদিন দুটি খেজুর খেলে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
৬. ত্বককে করে তরুণ এবং সুন্দর
খেজুরে থাকা ফাইটোহরমোন ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে খেজুরের বীজের সার থেকে তৈরি ক্রিম মহিলাদের চোখের চারপাশের কুঁচকে কমিয়েছে।
