জাপানিদের এই ৬টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যার মধ্যে তাদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য লুকিয়ে
- FB
- TW
- Linkdin
জাপানিরা তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। দীর্ঘায়ু লাভের জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং সক্রিয় জীবনযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জাপানে বেশিরভাগ মানুষের শারীরিক গঠন রোগা। তাদের খাদ্যাভ্যাস এর জন্য সহায়ক। জাপানিরা বেশিরভাগই তাদের ঐতিহ্যবাহী খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। ঋতু অনুযায়ী তারা সবজি, ফার্মেন্টেড খাবার, মাছ, মাংস ইত্যাদি খায়।
জাপানিরা রান্না করার সময় ভারতীয়দের মতো অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করে না। তাদের খাবারে থাকা মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব একটা খায় না, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
পরিমিত খাবার:
অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানিরা কম পরিমাণে খাবার খায়। তবে তাদের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সবজি ইত্যাদি সুষমভাবে থাকে। জাপানিরা স্বাদের প্রতি গুরুত্ব দিলেও, পরিমিত খাওয়ার ব্যাপারেও সচেতন। কম খাওয়ার ফলে তারা কম ক্যালরি গ্রহণ করে, যা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আস্তে আস্তে খাওয়া:
জাপানিরা খাবার তাড়াহুড়ো করে খায় না। তারা খাওয়াকে একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচনা করে। তারা খাবার ভালো করে চিবিয়ে আস্তে আস্তে খায়। পেট ভরে গেলে তারা খাওয়া বন্ধ করে দেয়। খাওয়ার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ফলে তারা অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারে, যা তাদের হজমশক্তি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তাজা খাবার:
জাপানিদের খাদ্যাভ্যাসে প্রক্রিয়াজাত খাবার খুবই কম। তারা তাজা রান্না করা খাবার পছন্দ করে। তারা বাগান থেকে তোলা তাজা সবজি, সামুদ্রিক শৈবাল, ফার্মেন্টেড সয়া ইত্যাদি খায়। তারা ফাস্ট ফুড খুব একটা খায় না।
তারা বাড়িতে রান্না করা বা স্থানীয় খাবার খায়। ফার্মেন্টেড খাবার, ধীরে ধীরে রান্না করা, গ্রিলিং ইত্যাদি তাদের প্রধান রান্নার পদ্ধতি। তারা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলে, যার ফলে তারা চিনি এবং খারাপ চর্বি এড়াতে পারে। তারা তাজা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খায়, যা তাদের স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সক্রিয় জীবনযাত্রা:
জাপানিরা তাদের জীবনযাত্রাকে সক্রিয় রাখে। তারা প্রতিদিন হাঁটা, ব্যায়াম ইত্যাদি করে। এছাড়াও তারা বাগান করা ইত্যাদি কাজেও অংশগ্রহণ করে। সক্রিয় জীবনযাত্রা তাদের সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
স্বাস্থ্যকর পানীয়:
জাপানে স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করা তাদের জীবনযাত্রার অংশ। গ্রিন টি সেখানে বহুল ব্যবহৃত হয়। এই চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাটচিন থাকে, যা metabolism বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে গ্রিন টি পান করলে ওজন কমে। কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পান করা শরীরের জন্য উপকারী।
জাপানিরা এই অভ্যাসগুলি নিয়মিত মেনে চলার ফলে তাদের শরীরে খারাপ চর্বি জমে না। তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি এ ব্যাপারে সহায়ক।